সাই সুদর্শন ও শুভমন গিলের সেঞ্চুরিতে দুই শতাধিকের রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। রানতাড়ায় নেমে লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটাররা। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ৩৫ রানে পরাজয় দেখতে হয়েছে ঋতুরাজ গায়কোয়াডের দলের।
ঘরের মাঠে টসে হেরে আগে ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২৩১ রানের সংগ্রহ পায় গুজরাট। জবাবে ৮ উইকেটে ১৯৬ রানে থামে চেন্নাইয়ের ইনিংস।
গুজরাটের কাছে হারলেও শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রাখছে চেন্নাই। ১২ ম্যাচে ৬ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন দলটি। অন্যদিকে আসরে পঞ্চম পেয়ে তলানি থেকে আটে এসেছে গুজরাট। কাগজে কলমে এখনও শেষ চারের আশা টিকে রয়েছে দলটির।
আগে ব্যাটে নেমে গুজরাটকে দুরন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার সাই সুদর্শন ও শুভমন গিল। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২১০ রান। সেঞ্চুরি করেন দুজনেই। ১৭.২ ওভারে সুদর্শন ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। পাঁচটি চার ও সাত ছক্কায় ৫১ বলে ১০৩ রান করেন এই ব্যাটার।
একই ওভারের শেষ বলে দলীয় ২১৩ রানে ফিরে যান গিল। নয়টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৫৫ বলে ১০৪ রান করেন গুজরাট অধিনায়ক। ইনিংসের শেষ বলে ২ রান করা মোহাম্মদ শাহরুখ খান রানআউট হন। ২৩১ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। ডেভিড মিলার অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ১৬ রানে।
চেন্নাইয়ের হয়ে দুটি উইকেট নেন তুষার দেশপান্ডে।
রানতাড়ায় নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় চেন্নাই। ১০ রানে ফিরে যান টপঅর্ডারের তিন ব্যাটার। চতুর্থ উইকেটে ১০৯ রানের জুটি গড়েন ড্যারিল মিচেল ও মঈন আলী। ফিফটি পেয়েছেন দুজনেই। ১২.২ ওভারে ১১৯ রানে মিচেল আউট হলে জুটি ভাঙে। সাতটি চার ও তিন ছক্কায় ৩৪ বলে ৬৪ রান করেন কিউই ব্যাটার।
মঈন আলী ফিরে যান ১৪.২ ওভারে ১৩৫ রানে। প্রোটিয়া অলরাউন্ডার চারটি করে চার ও ছক্কায় ৩৬ বলে ৫৬ রান করেন। শিভাম দুবে ১৩ বলে ২১ রানে, রবীন্দ্র জাদেজা ১০ ১৮ রানে ফিরে যান। মহেন্দ্র সিং ধোনি এক চার ও তিন ছক্কায় ১১ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
গুজরাটের হয়ে মোহিত শর্মা তিনটি এবং রশিদ খান দুটি উইকেট নেন।