কংগ্রেস সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধীর ‘ফ্লাইং কিস’ বিতর্কে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের লোকসভা। বুধবার (৯ আগস্ট) অধিবেশনে মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বললেন, তিনি মহিলা সাংসদদের লক্ষ্য করে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়েছেন!
চুমু ছুড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলেও আক্রমণ করেছেন স্মৃতি। সংসদ টিভিতে রাহুলের এই ফ্লাইং কিস সম্প্রচার করা হয়নি। তবে স্মৃতি ইরানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেরই মনে পড়ে গেছে রাহুল গান্ধীর ‘চোখ মারা’ কাণ্ডের কথা। ২০১৮ সালে আরেক অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কের সময়ই প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আলিঙ্গন করেছিলেন এবং তারপর সতীর্থ সংসদ সদস্যদের দিকে চোখ মেরেছিলেন।
২০১৮ সালে তার চোখ টেপার ঘটনা লোকসভা টিভির ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। এদিনের ঘটনা অবশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়নি। তবে বিজেপি সংসদ সদস্যরা এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। জানা গেছে, রাহুল গান্ধীর আচরণকে ‘অনুপযুক্ত’ বলে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শোভা করন্দলাজে লোকসভার স্পিতার ওম বিড়লাকে একটি চিঠি দিয়েছেন। বিজেপির অন্তত ২২ জন নারী সংসদ সদস্য এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।
স্মৃতি বলেছেন, ‘আমার আগেই যিনি বক্তৃতা করলেন, তিনি অশালীন ব্যবহার করেছেন। এক জন নারীবিদ্বেষী মানুষই মহিলা সাংসদদের উদ্দেশে ফ্লাইং কিসের মতো ইঙ্গিত করতে পারেন। এটা বুঝিয়ে দেয় তিনি কোন পরিবার থেকে এসেছেন এবং তাঁর দল মহিলাদের সম্পর্কে কী মনোভাব পোষণ করে।’
অন্যদিকে সংসদে ফেরার পরপরই বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করেন রাহুল। রাহুল অভিযোগ করে বলেন, বিজেপি মণিপুরকে খণ্ডিত করে ভারতমাতাকে খুন করেছে! বিজেপি মণিপুর রাজ্যে আগুন জ্বালিয়েছে, এখন তারা হরিয়ানাকে জ্বালানোর চেষ্টা করছে।
এরপর তিনি হরিয়ানার হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রতিক দাঙ্গা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা সব জায়গায় কেরোসিন ছিটিয়েছেন, মণিপুরে আপনারা আগুন জ্বালিয়েছেন, এখন হরিয়ানাতেও একই কাজ করার চেষ্টা করছেন।’
রাহুল এমন মন্তব্য করার পর লোকসভার ভেতরে হৈচৈ শুরু হয়। বিজেপি নেতারা তাকে ক্ষমা চাইতে বলেন।