শিল্পী জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম কলিম শরাফী। শুধু সংগীত জগত নয়, চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও নির্মাণসহ বহু কাজের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন এই কিংবদন্তী। সফল সংগঠক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেও নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়।
প্রয়াত এই সুরসাধকের জন্মশত বার্ষিকী ৮ মে। এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে বসছে স্মরণ অনুষ্ঠান।
শতবর্ষের এই আয়োজন যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়েছে কলিম শরাফীর মেয়ে আলিয়া শরাফী এবং জাতীয় জাদুঘর। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে এই আয়োজন।
সাধারণ শ্রোতাদর্শক থেকে দেশের গুণীজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে গান আবৃত্তি আর আলাপে ভিন্ন আঙ্গিকে কলিম শরাফীকে তুলে ধরবেন ফাহিম হোসেন চৌধুরী, কিশওয়ার কামাল, ডালিয়া নওশীন, শারমিন সারথী ইসলাম, বুলবুল ইসলাম, লুভা নাহিদ চৌধুরী, মহাদেব ঘোষ, বিনোদ, পল্লব এবং অসিত বিশ্বাস প্রমুখ৷
রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের ৬৩ বছর পরে একই দিনে (১৯২৪ সালের ৮ মে) কলিম শরাফী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। শিল্পী সমাজের কাছে তিনি বাতিঘর। শিল্প ও সংস্কৃতির বহুমাত্রিক পথে ছিল তার বিচরণ। রবীন্দ্রসংগীতের পাশাপাশি গেয়েছেন গণসংগীত। গেয়েছেন চলচ্চিত্রেও। আবার সংগীত শেখানোর কাজটিও করেছেন তিনি।
সংগীতে অনন্য অবদানের জন্য কলিম শরাফী একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক, নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক, বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুব উল্লাহ স্বর্ণপদক, শিক্ষা ও সংস্কৃৃতি চর্চা কেন্দ্র থেকে কৃতী বাঙালী সম্মাননা পদক, বাংলা একাডেমি কর্তৃক রবীন্দ্র পদক পেয়েছেন। এ ছাড়া তিনি শুভ গুহঠাকুরতা স্মৃতি পুরস্কার, কবি জসিমউদ্দীন পুরস্কার, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, নাগরিক নাট্য অঙ্গন, বৈতালিক, রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সংস্থা, শিল্পকলা একাডেমি, বুলবুল ললিতকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে সম্মানিত হয়েছেন তিনি।
২০১০ সালে ২ নভেম্বর অনন্ত আলোকে পাড়ি জমান বরেণ্য এই ব্যক্তিত্ব।