‘প্রিয়তমা’ নির্মাণ করেই সাড়া ফেলে দিয়েছেন তরুণ নির্মাতা হিমেল আশরাফ। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে গেছেন। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছেন ‘প্রিয়তমা’র প্রাণ ভোমড়া শাকিব খান! নির্মাতা-অভিনেতা মিলে প্রথমবার একসঙ্গে বড় পর্দায় দেখলেন দর্শকপ্রিয় এই ছবিটি!
সদ্য নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্স সিনেমাসে হল ভর্তি দর্শকের সাথে ‘প্রিয়তমা’ দেখেন শাকিব খান ও হিমেল আশরাফ। ছবিটি দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন শাকিব। এমনটাই জানালেন হিমেল। তিনি নিজেও স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন।
সিনেমা শেষ করে হলের মধ্যেই করা একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেন হিমেল। যেখানে তার সঙ্গে ছলছল চোখে শাকিব খানকেও দেখা যায়। হিমেল ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেন, ‘২০১৭ সালে প্রিয়তমা বানানোর ঘোষণার পরে আমাকে আমেরিকা চলে আসতে হয় জীবনের প্রয়োজনে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত আমাকে মিডিয়াতে ছোট করে হলেও বাঁচিয়ে রেখেছিলেন শাকিব খান। আমি দেশে উপস্থিত ছিলাম না, এর পরেও তার প্রায় প্রতিটা সিনেমার অনুষ্ঠানে তিনি আমার কথা বলতেন, আমার নাম বলতেন।
প্রিয়তমা না করতে পারার পরেও তার ঘরের রাজকুমার ও মায়া নামের দুইটা সিনেমায় আমার নাম ঘোষণা করার পরে মোটামুটি সবাই টিটকারি মেরে হেসেছেন।’
সুখের দিনে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে এদিন হিমেল আরও লিখেন, ‘শাকিব ভাইকে সবাই বলতেন হিমেলকে দিয়ে হবে না, নাটকের ছেলে, নাটক বানায় ফেলবে। কেউ বলতেন ওর প্রথম সিনেমা ভালো যায় নাই, কুফা ভাই নিয়েন না। কেউ কেউ বলেছে শাকিব ভাই ভুল করতেছেন, ওতো নাটকের কিছু করতে পারে নাই, পরে বুঝবেন। ৯৯ ভাগ মানুষ শাকিব ভাইর কাছে আমার নামে নেগেটিভ মন্তব্য করতেন। কিন্তু কোন এক অদ্ভুত কারণে উনি আমার উপর আস্থা পেতেন। প্রায়ই বলতেন তুই একদিন বড় ডিরেক্টর হবি হিমেল। আমি আজো জানি না তিনি আসলে কেন বলতেন এই কথা। শুধু আমাকে না, আমার অনুপস্থিতিতেও তিনি খুবি কনফিডেন্সের সাথে বলতেন হিমেল ভাল বানাবে। তার কথা শুনে মানুষ মুচকি হাসতো।’
‘আজ প্রিয়তমা দেখার শেষে তার ভেজা চোখে চোখ পরতেই আমাকে দেখে হেসে আমার কাধে হাত রেখে কিছু না বলেও যেন কত কিছু বললেন। আর আমি তার বিজয়ের হাসি দেখে মনে মনে বার বার বলছিলাম ভাইয়া থ্যাংক ইউ…।’- বলছিলেন স্মৃতিকাতর হিমেল।
আজীবন শাকিবের কাছে ঋণী হয়ে থাকবেন, এমন মন্তব্য করে এদিন হিমেল বলেন,“শাকিব খানের ব্যস্ত শিডিউলে হয়ত তার সাথে আমার অনেক কাজ হবে না, কিন্তু একজন নির্মাতা হিমেল আশরাফ আজীবন শাকিব খানের কাছে ঋণী হয়ে থাকবে।”