বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেত্রী ববিতা। তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করা আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি সম্পন্ন এই অভিনেত্রী ৩০ জুলাই পা রাখলেন ৬৯ বছরে। জন্মদিনে বাংলার অগনিত সিনেমা প্রেমী মানুষের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি।
কিংবদন্তী এই অভিনেত্রীকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে চ্যানেল আই পরিবার। চ্যানেল আইয়ের সাথে ঢাকাই চলচ্চিত্রের তুখোড় এই অভিনেত্রীর সম্পর্কটা বহু পুরনো। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের বেশকিছু ছবিতেও তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। এমনকি বছর কয়েক আগে শাইখ সিরাজের পরিকল্পনা, উপস্থাপনা ও পরিচালনায় চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত আয়োজন ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’-এর বিশেষ একটি পর্বে অন্য এক ববিতাকে আবিস্কার করেছেন দর্শক।
ববিতার পুরো নাম ফরিদা আক্তার ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলায় জন্ম নেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন ববিতা। চলচ্চিত্রে তার শুরুটা হয়েছিল গত শতকের ষাটের দশকের শেষ দিকে। নায়িকা হিসেবে ববিতার যথার্থ উত্থান ঘটে ১৯৬৯ সালে ‘শেষ পর্যন্ত’ ছবির মাধ্যমে।
১৯৭০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ববিতা শতাধিক ছবিতে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ছবি হলো—পিচঢালা পথ (১৯৭০), স্বরলিপি (১৯৭০), অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী (১৯৭২), ধীরে বহে মেঘনা (১৯৭৩), আবার তোরা মানুষ হ (১৯৭৩), অশনি সঙ্কেত (১৯৭৩), বাঁদী থেকে বেগম (১৯৭৫), লাঠিয়াল (১৯৭৫), নয়নমণি (১৯৭৬), অনন্ত প্রেম (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), সুন্দরী (১৯৭৯), এতিম (১৯৮০), দূর দেশ (১৯৮১), লাইলী মজনু (১৯৮৩), তিনকন্যা (১৯৮৫), রামের সুমতি (১৯৮৫), চণ্ডিদাস ও রজকিনী (১৯৮৭), বিরহব্যথা (১৯৮৯), বিরাজ বৌ (১৯৮৯) প্রভৃতি।
তিনি সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রশংসিত হন। বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন।