গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনী এলাকায় ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। বাকি ১২৯ কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ এ সিটির চারভাগের তিনভাগ ৭৩ দশমিক ১২ শতাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। এসব কেন্দ্রে নিরাপত্তায় বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করেছে সাংবিধানিক এ সংস্থা।
মঙ্গলবার ২৩ মে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এসব কথা বলেন। এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ এসব কেন্দ্রকে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ বলতেই স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘কোনো থ্রেড না থাকলেও যেহেতু শিল্প এলাকা তাই দুষ্কৃতিকারীরা বা অসৎ উদ্দেশ্য যাদের থাকে তারা যেন অন্যায় পরিস্থিতি করতে না পারে তাই অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিল্প এলাকা বিধায় গাজীপুর সিটিতে বিভিন্ন ধরনের মানুষের বসবাস সেখানে। তাই মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতাও বেশি। তবে নির্বাচনী পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো।
৫৭টি ওয়ার্ডে ৭৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে জানিয়ে কমিশনার বলেন, জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে। সেখানে র্যাবের ৩০টি টিম থাকবে। বিজিবির প্রায় ১৩টা প্লাটুন সদস্য থাকবে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশের ১৯টি ও মোবাইল টিম হিসেবে ৫৭টি টিম থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জনের ফোর্স থাকবে। অর্থাৎ প্রচুর আইন-শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। যাতে কোনো রকম বিশঙ্খলা না হয়।
তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে সে দলের বা যেই হোক না কেন তাকে সাথে সাথে আইনের আওতায় আনার জন্য বলা হয়েছে। অনিয়মের মাত্রার ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কী নেওয়া হবে, তা নির্ভর করবে। ব্যক্তির সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, অনিয়মের মাত্রার ওপর শাস্তি নির্ভর করবে।
আগামী ২৫ মে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা। এগুলো ঢাকা থেকে মনিটরিং করা হবে। এতে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ ও পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ১৮ জন রয়েছে হিজড়া ভোটার।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদের প্রার্থীরা হলেন- মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম, নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ।
এছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।