ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত অবরোধের মধ্যে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় সেখানে ক্যান্সারের চিকিৎসা প্রদানকারী একমাত্র হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে গেছে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পরিচালক সুভি সুকেক বলেছেন, এই হাসপাতালটি আর কাজ করছে না। আমরা বিশ্বকে বলবো, হাসপাতাল পরিষেবার বাইরে থাকার কারণে ক্যান্সার রোগীদের একটি নির্দিষ্ট মৃত্যুর জন্য ছেড়ে দেবেন না।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা এক বিবৃতিতে বলেছেন, হাসপাতালের অভ্যন্তরে ৭০ জন ক্যান্সার রোগীর জীবন গুরুতরভাবে হুমকির সম্মুখীন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র তারিক জাসারেভিচ বলেছেন, হাসপাতালগুলো কাজ চালিয়ে না গেলে হাজার হাজার রোগীর জীবন হুমকির মুখে পড়বে। ক্যান্সার রোগীরা খুবই সংবেদনশীল। যদি তারা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পায়, তাহলে এটা তাদের জন্য মৃত্যুদণ্ড।
তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অর্থ হলো গাজা ভূখণ্ডের ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ১৬টিই এখন পরিষেবার বাইরে। এছাড়া গাজার ৭২টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকের মধ্যে ৫০টিরও বেশি ক্লিনিকও বন্ধ হয়ে গেছে।
গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় ব্যপক হামলা চালায় ইসরায়েল বাহিনী। ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে গাজায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৮,৭৯৬ জন যাদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশেরও বেশি শিশু। প্রবল অবরোধ চলায় অঞ্চলটিতে দেখা দিয়েছে খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সংকট।