রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা মান্দাইলে একটি বাসায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম মোছা. সোনিয়া আক্তার (২৫)। এই দুর্ঘটনায় দগ্ধ ৬ জনের মধ্যে এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ জনে দাঁড়ালো।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সোনিয়ার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও সোনিয়ার পরিবারের লোকজন জানান, ৩০ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা মডেল মান্দাইল জাওলা পাড়ার একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন, মোছাম্মৎ বেগম (৬০), তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার (২৬) সোনিয়ার মেয়ে মরিয়ম ওরফে মারিয়ম আক্তার (৮), বেগমের নাতি শাহাদাত হোসেন (২০) ও ইয়াছিন (১২) এবং মোছাম্মৎ ইদুনী বেগম ওরফে পান্না বেগম (৫০)। ইয়াছিন ছাড়া সবার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস, এম আইয়ুব হোসেন জানান, মোছা, সোনিয়া আক্তারের শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তিনি নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধাীন ছিলেন। এরআগে ৪ জনের মৃত্যু হয়। দগ্ধ আরও একজন চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে গত ৩০ আগস্ট দগ্ধ ৮ বছরের শিশু মরিয়ম প্রথম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এরপর শাহাদাতও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার শরীরের ৫২ শতাংশ দগ্ধ ছিল। ২ সেপ্টেম্বর মারা যান মোছাম্মৎ বেগম (৬০)। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। গতকাল সোমবার মোছাম্মৎ ইদুলী বেগম পান্না (৫০) মারা যান। তার শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। আজ মঙ্গলবার মারা যান সোনিয়া আক্তার।