বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচে হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা বন্ধ ছিল খেলা। ফলে ইনিংস প্রতি ওভার কমে আসে ১৩টি করে। ছন্দে থাকা বাংলাদেশ ছন্দ হারায় বৃষ্টির পরে। ৩৭ ওভারের ম্যাচে শেষ অবধি ১৮৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছে টিম টাইগার্স। বৃষ্টি আইনে ১৯৭ রানের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ইংলিশদের সামনে।
গৌহাটিতে টসে জিতে আগে ব্যাটে নামে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের ৭৪ রান ও তানজিদ হাসানের তামিমের ৪৫ রানের ইনিংসে ৩৭ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করে বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে আসে ১৩ রান। একটি চার ও একটি ছক্কা এসেছিল তানজিদের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় ওভারে লিটন সংগ্রহ করেন ৫ রান।
তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১৮ রানে লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রিচি টপলের বলে উইকেটরক্ষক বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লিটন। ৬ বলে ৫ রান করেন।
লিটন ফেরার পর শান্তও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ব্যাট হাতে কিছুটা লড়াই করতে হয়েছে টাইগার টপঅর্ডার ব্যাটারকে। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে রিচির দ্বিতীয় শিকার হন শান্ত। গাস অ্যাটকিনসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১১ বলে ২ রান করে।
লিটন ও শান্তর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরে তরুণ ওপেনার তানজিদ তামিম ও অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজের দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়ায় টিম টাইগার্স। ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৭৮ রানে মার্ক উডের ডেলিভারি সামাল দিয়ে উঠতে পারেননি তানজিদ তামিম। ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। সাত চার ও এক ছক্কায় ৪৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি ওপেনার।
২০.৪ ওভারে দলীয় ১০৪ আদিল রশিদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান মুশফিকুর রহিম। ১৫ বলে ৮ রান করেন টাইগার উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১৩৮ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২১ বলে ১৮ রান করে লিয়াম লিভিংস্টোনের হাতে ধরা দেন আদিল রশিদের বলে।
রিয়াদ ফেরার পর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩০ ওভার শেষে বৃষ্টি হানা দেয় মাঠে। বৃষ্টির আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৫৩ রান।
প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা পর খেলা পুনরায় গড়ালে হৃদয়ের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩১.১ ওভারে দলীয় ১৫৫ রানে জো রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে স্যাম কারেনের শিকার হন তিনি। ১৩ বলে ৫ রান করেন।
হৃদয় ফেরার পর দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন মিরাজ। ৩৩.৩ ওভারে দলীয় ১৭৩ রানে ডেভিড বেলির বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। ৮৯ বলে ৭৪ রান করেন টাইগার অলরাউন্ডার।
পরের বলেই ফিরে যান নাসুম আহমেদ। ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে ফেরেন রানের খাতা না খুলেই। নাসুম ফেরার টিকতে পারেননি শেখ মেহেদী হাসানও। ৩৪.১ ওভারে দলীয় ১৭৯ রানে রিচি টপলের শিকার মেহেদী। ৫ বলে ৩ রান করেন।
এরপর শরিফুল ইসলামকে নিয়ে নির্ধারিত ওভার শেষ করেন তাসকিন। ১২ বলে ১২ রান করেছেন তাসকিন, শরিফুল ৭ বলে ৩ রান।
ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন রিচি টপলে। এছাড়া ডেভিড বেলি ও আদিল রশিদ নেন দুটি করে উইকেট।