১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী ডা. শামসুল আলম খান মিলনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন।
আজ রোববার ‘শহীদ ডা. মিলন দিবস’। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশের গুলিতে শাহাদাত বরণ করেন তিনি।
মিলনের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘৯০ এর ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী সাবেক ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’র নেতারা।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য সকাল সাড়ে আটটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গনে ডা. মিলন স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সকাল সাড়ে নয়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি চত্বরে শহীদ ডাঃ মিলনের বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং শহীদের স্মৃতির প্রতি দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন ‘৯০ এর ছাত্র-গন অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী সাবেক ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’র নেতা, সাবেক সাংসদ ছাত্রনেতা নাজমুল হক প্রধান, নুর আহমেদ বকুল, শফি আহমেদ, রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিরাজুম মুনীর, বেলাল চৌধুরী, জায়েদ ইকবাল খান, রাজু আহমেদ, জাকির হোসেন রাজু,কামাল হোসেন বাদল,কলিন্স, আক্রাম হোসেন, সাংবাদিক নজরুল কবির, বেনজির আহমেদ,মোস্তফা আলমগীর রতন,কায়ুম হোসেন,মুকুল রহমান।
মুক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্র নেতা ও সাবেক সাংসদ নাজমুল হক প্রধান, নুর আহমেদ বকুল, শফি আহমেদ।
বক্তারা বলেন, সামরিক জান্তা স্বৈরাচারী শাসক এর ঘাতকের গুলিতে নিহত শহীদ ডাঃ মিলনের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। তাঁর আত্মত্যাগ ও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি স্বার্থক হবে,যখন তিন জোটের রুপরেখা দল নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠালাভ করে সু-শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
বক্তারা আরো বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতনের পরবর্তী সরকারগুলো ছাত্রদের প্রবর্তিত ১০ দফা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, স্কপ, নারী জোট, ১৭ টি কৃষক সংগঠনের দাবী সমুহ বাস্তবায়ন করেনি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হলেও এখনো পর্যন্ত স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।আমরা দাবী করছি অস্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।