যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দোষী সাব্যস্ত করা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবরুদ্ধ দশার প্রতীক। বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে। সমালোচকদের দমিয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয় এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে গতকাল ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অ্যামনেস্টি বলেছে, মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যে অস্বাভাবিক গতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে, তা বাংলাদেশের অন্যান্য শ্রম অধিকার-সম্পর্কিত আদালতের মামলার সম্পূর্ণ বিপরীত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় শ্রম আইন ও বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন।
অ্যামনেস্টি মনে করে, দেওয়ানি ও প্রশাসনিক ক্ষেত্র-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জন্য মুহাম্মদ ইউনূসসহ তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম শুরু করা শ্রম আইন ও বিচারব্যবস্থার একটি স্পষ্ট অপব্যবহার। এটি ইউনূসের কাজ ও ভিন্নমতের জন্য তার প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার একটি ধরন।