যুক্তরাষ্ট্র সফররত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের সঙ্গে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বাকবিতণ্ডার ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রদল নেতার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগ।
শনিবার ১৫ জুলাই সকাল ১১টার দিকে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের আমকি গ্রামের আমকি মিয়া বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বাদল মির্জা একই গ্রামের আবু বাহারের ছেলে। তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলা ও জয়াগ ইউনিয়ন ছাত্রদলের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন। বাদল ৮ থেকে ১০ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যান, সেখান থেকে পরে আমেরিকা প্রবেশ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র সফররত শামীম ওসমানের সঙ্গে ঘটনার পরে সাবেক ছাত্রদল নেতা বাদলের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি জানার পরপরই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। সকালের দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের ১০ থেকে ১৫ জন নেতা-কর্মী শামীম ওসমানের সঙ্গে ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্ত বাদলের বাড়িতে বিক্ষোভ করে ভাংচুর চালায় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই সময় বাদলের পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিল না।
সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল উদ্দিন বলেন, বাদল দেশে থাকতে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়ন ছাত্রদলের অন্যতম নেতা ছিলেন। ওই সময় তিনি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে পড়েন। পরে সরকার পরিবর্তন হলে তিনি জনগণের রোষানলে পড়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের সঙ্গে ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। পরে তার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে তার শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেয়। ওই সময় ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তবে এই ছাত্রলীগ নেতা ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাংচুরের অভিযোগ নাকচ করে দেন।
এ বিষয়ে জানতে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, এই বিষয়ে কেউ পুলিশকে অবহিত করেনি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ১২ জুলাই স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের লিটল বাংলাদেশ (৭৩ স্ট্রিট) এলাকায় যান শামীম ওসমান। তিনি একটি কালো রঙের রেঞ্জ রোভার গাড়িতে ছিলেন। তাকে দেখামাত্র রাস্তার বিপরীতে থাকা নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি নেতা রাব্বী, সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা বাদল মির্জাসহ কয়েকজন যুবক ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ স্লোগান দেয়। এরপর তারা সেখানে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। পরে ওই ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।