প্লে-অফে যাওয়ার আশা নিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল রাজস্থান রয়্যালস। উল্টো প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রেখে রাজস্থানকে হারিয়ে ২০ রানে জয় তুলেছে দিল্লি। পরের ম্যাচগুলোতে জয়ের ধারা রাখতে পারলে সেরা চারের টিকিট অপেক্ষায় দিল্লির।
রাজস্থান হারলেও পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানে পরিবর্তন হয়নি। ১১ ম্যাচে ৮ জয় ও ৩ হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে তারা। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে এগিয়ে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্স শীর্ষে। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে চেন্নাই সুপার কিংস। সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে পিছিয়ে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ চারে। ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে উঠে এসেছে দিল্লি।
অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২২১ রান করে দিল্লি। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ২০১ রানের বেশি করতে পারেনি রাজস্থান।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দিল্লিকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার অভিষেক পোরেল এবং জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। দুজনের ব্যাটে ভর করে চার ওভারে আসে ৬০ রান। ১৯ বলে ফিফটি তুলে নেন ম্যাকগার্ক। ৭ চার ৩ ছক্কায় পঞ্চাশ করার পরের বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ক্যারিবীয় তারকা শাই হোপ। ১ বলে ১ রান করে রান আউট হন। অপর প্রান্ত আগলে রেখে ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন পোরেল। তার ব্যাটে আসে ৭ চার ৩ ছক্কায় ৩৬ বলে ৬৫ রান।
দুইশ পেরোনো রান তুলতে দিল্লির হয়ে একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন ত্রিস্তান স্টাবস। ২০ বলে ৪১ রান আসে তার ব্যাটে। অক্ষর প্যাটেল ১০ বলে ১৫, অধিনায়ক রিশভ পান্ট ১৩ বলে ১৫ এবং গুলবাদিন নাইবের ১৫ বলে ১৯ রানে ভর করে ২২১ রানের পুঁজি পায় দিল্লি।
রাজস্থানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। ট্রেন্ট বোল্ট, সন্দীপ শর্মা এবং যুজবেন্দ্র চাহাল নেন একটি করে উইকেট।
রানতাড়ায় নেমে দ্বিতীয় বলে ওপেনার যস্বী জয়সওয়ালকে হারায় রাজস্থান। জস বাটলারও টেকেননি বেশিক্ষণ। ১৭ বলে ১৮ রান করেন। তিনে নেমে তাণ্ডব চালান সাঞ্জু স্যামসন। ২৮ বলে তুলে নেন ফিফটি। অপরপ্রান্তে এসে ২২ বলে ২৭ রান করে বিদায় নেন রিয়ান পরাগ। স্যামসনকে সঙ্গ দেন শুভম দুবে। ২৯ বলে দুজনে গড়েন ৫৮ রানের জুটি।
ষষ্ঠদশ ওভারে ৪৬ বলে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ৮৬ রান করে স্যামসন আউট হলে জয়ের আশা থেমে যায় দলটির। শেষদিকে আর লড়তে পারেননি কেউই। আসরে তৃতীয় হার দেখতে হয় তাদের।
দিল্লির হয়ে দুটি করে উইকেট নেন খলিল আহমেদ, মুকেশ কুমার ও কুলদীপ যাদব। একটি করে উইকেট শিকার করেন অক্ষর প্যাটেল ও রাশিখ সালাম।