কবি মাহবুবুল হক শাকিলের ৭ম প্রয়াণ দিবস আজ। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ছিলেন। তিনি ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর মারা যান।
মাহবুবুল হক শাকিলের বাড়ি ময়মনসিংহ। শহরের বাঘমারা এলাকায় তার বেড়ে ওঠা। জন্ম টাঙ্গাইলে নানার বাড়িতে ১৯৬৮ সালের ২০ ডিসেম্বর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর।
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সেল সিআরআই গঠিত হলে তা পরিচালনার দায়িত্ব পান শাকিল।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। চার বছর পর তাকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) নির্বাচিত করা হয়।
এরপর ২০১৪ সাল থেকে, অতিরিক্ত সচিব মর্যাদায়, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএইচ হলের সাবেক জিএস, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
মাহবুবুল হক শাকিল রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সাহিত্য অঙ্গনেও ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। লেখনী ছিল চমৎকার ও অসাধারণ। তার লেখা কবিতা ও গল্প ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।তার প্রকাশিত বইগুলো হলো ‘খেরোখাতার পাতা থেকে’ ‘মন খারাপের গাড়ী’ ও ‘জলে খুঁজি ধাতব মুদ্রা’।
ছোটবেলা থেকেই শাকিলের রাজনীতির সাথে পরিচয়। শৈশবেই আইনজীবী বাবা মো. জহিরুল হককে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখেছেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের উত্তাল সেই সময়ে মাহবুবুল হক শাকিল খুব দ্রুতই নেতৃত্বগুণে ছাত্রলীগের প্রথমসারির নেতাদের চোখে পড়েন।
মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ সকালে ময়মনসিংহ শহরের ভাটিকাশর গোরস্থানে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেছেন তার পরিবারের সদস্য, বন্ধু-সহপাঠী এবং ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। পরে তার শুভার্থীরা শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাতে অংশগ্রহণ করে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর আকস্মিক মৃত্যুর পরে মাহবুবুল হক শাকিলকে তার শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহ শহরের ভাটিকাশর মসজিদের পাশের কবরস্থানে ৭ ডিসেম্বর সমাহিত করা হয়।