কুমিল্লাকে হারিয়েই আসর শুরু করেছিল দুর্দান্ত ঢাকা। সেই ম্যাচে কুমিল্লার ১৪৩ রান তাড়া করে জিতেছিল ৩ বল আগেই। পরে ব্যাটিং ব্যর্থতায় টানা ছয়টি হার দেখেছে নতুন মালিকানাধীন দলটি। কোনো ম্যাচেই দেড়শ করতে না পারা দলটি কুমিল্লার বিপক্ষেই আসরে প্রথম দেড়শ পার করে। চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেলেও তা ধরে রাখতে পারেনি তাসকিন আহমেদের দল। তাওহীদ হৃদয়ের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে টানা সপ্তম হার দেখেছে কুমিল্লার কাছে। ৪ উইকেটে জিতে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আসলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
চলতি আসরে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন হৃদয়। ৫৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা ইনিংসটিতে ছিল আটটি চার ও ছয়টি ছক্কার মার। এর আগে আসরে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেছিলেন চট্টগ্রামের আভিস্কা ফের্নান্দো। পাশাপাশি টি-টুয়েন্টিতে হৃদয়ের প্রথম সেঞ্চুরিও এটি। এরআগে হৃদয়ের সর্বোচ্চ রান ছিল ৮৫। বিপিএলে সব আসর মিলিয়ে ৩০তম সেঞ্চুরি এটি। তার মধ্যে ষষ্ঠ বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে এমন অর্জন করলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তাসকিন। নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান করে ঢাকা। জবাবে নেমে ইনিংসের ১ বল বাকী থাকতে ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে কুমিল্লা।
রান তাড়ায় নেমে কুমিল্লার শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। ২৩ রানে তিন উইকেট হারায় তারা। দুই ওপেনার লিটন দাস ও উইল জ্যাকস এবং চারে নামা ইমরুল কায়েস ফিরে যান নামের সাথে সুবিচার না করে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও ব্রুক গেস্ট। ৮৪ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন দুজনে। ১৩.৪ ওভারে গেস্ট ফিরে যান চতুরাঙ্গা ডি সিলভার শিকার হয়ে।
একপ্রান্ত আগলে রাখা হৃদয় চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে ঝলক দেখান। ৩২ বলে পূর্ণ করে নেন ফিফটি। ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কার মার। মাঝে রেয়মন রেইফার ও জাকির আলি অনিকের উইকেট হারালেও ম্যাথু ফোর্ডকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ৫৭ বলে ১০৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়। অনবদ্য ইনিংসটিতে ছিল আটটি চার ও সাতটি ছক্কার মার।
ঢাকার হয়ে শরীফুল ইসলাম নেন দুটি উইকেট। এছাড়া আরাফাত সানি, মোহাম্মদ ইরফান ও চতুরাঙ্গা ডি সিলভা নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাটে নেমে জ্বলে উঠেন নাঈম শেখ ও সাইফ হাসান। ১১৯ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটির পথ ধরে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে হারিয়ে ঢাকা তোলে ১৭৫ রান। দুই তরুণ ব্যাটারই পেয়েছেন ফিফটি। ৪৫ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে অদ্ভূতভাবে হিট উইকেট হন নাঈম। এ বাঁহাতি ব্যাটার এখন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ফিফটির পথে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলে পাওয়া পাকিস্তানি তারকা ক্রিকেটার বাবর আজমকে (২৫১) টপকে যান।
৪২ বলে ৫৭ রান করেন সাইফ। দুজনই আউট হন ম্যাথু ফোর্ডের বলে। ক্যারিবিয়ান পেসার একাই নেন তিনটি উইকেট। শেষদিকে অ্যালেক্স রস ১১ বলে ২১ ও মেহরব হোসেন ৮ বলে ১১ রানে অপরাজিত থেকে পৌঁনে দুইশতে নিয়ে যান দলকে।
কুমিল্লার হয়ে ম্যাথু ফোর্ড নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া আলিস নেন একটি উইকেট।