ডেঙ্গু আক্রান্তের হার প্রতিদিনই বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ সিডিসিকে সতর্ক করে বলছে, রোগী বাড়লে আনুপাতিক হারে মৃত্যুও বাড়বে। আগস্ট মাস থেকে অক্টোবর মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে সিডিসি। ডেঙ্গুর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ঠেকাতে এডিস মশা নিধনে সরকারি-বেসরকারি এবং ব্যক্তি উদ্যোগ জোরদার রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডেঙ্গু জ্বরের রোগীদের দ্রুত শনাক্ত করে চিকিৎসার আওতায় এনে রোগ জটিলতা ও মৃত্যু কমাতে সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর সাথে অনেক হাসপাতালে ‘ফিভার সেন্টার’ খোলা হয়েছে।
সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে বছরজুড়েই ডেঙ্গু সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এর মাঝে বদলেছে রোগ উপসর্গের ধরন।
রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ সিডিসির পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, গত বছর অক্টোবরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ছিল সবচেয়ে বেশি। সে সময় আক্রান্ত হয়েছিল ২১ হাজার ৯৩২ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয় ৮৬ জনের। চলতি বছর জুলাই মাসেই আক্রান্ত হয়েছে ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জনের। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি খুবই জটিল হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ৬২ হাজার ৩৮২ জন। মৃত্যু হয়েছিল ২৮১ জনের। চলতি বছর পয়লা জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে আক্রান্ত হয়েছে ৫১ হাজার ৮৩২ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৫১ জনের।
চলতি বছর রাজধানীর বাইরে ডেঙ্গু বাড়তে থাকায় শঙ্কা আরো বেড়েছে। এ অবস্থায় সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও সেবাকেন্দ্রগুলোকে ডেঙ্গুর চিকিৎসায় জাতীয় ব্যবস্থাপত্রের গাইডলাইন মেনে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সিডিসি।