যুক্তরাজ্যের বর্ষীয়ান নির্মাতা কেন লোচের সিনেমা ‘দ্য ওল্ড ওক’ দেখানো হবে কান চলচ্চিত্র উৎসবে। ৮৬ বছর বয়সী এই নির্মাতা মোটামুটি নিশ্চিত, এটাই তার পরিচালিত শেষ ছবি।
চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেছে। স্মৃতিশক্তিও ক্ষণস্থায়ী হয়ে গেছে। শারীরিক অবস্থাও ভালো না। কিন্তু সিনেমার প্রতি ভালোবাসা কমেনি একটুও। লোচের বেঁচে থাকার শক্তিই যেন সিনেমা। আর তাই ‘দ্য ওল্ড ওক’ নিয়ে কানে হাজির থাকবেন লোচ।
‘দ্য ওল্ড ওক’-এর গল্প এক খনির শহরকে ঘিরে যেখানে খনি বন্ধ থাকায় লোকেরা জমি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বাড়িগুলি সস্তা এবং সহজলভ্য। তাই এটি সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য একটি আদর্শ জায়গা হয়ে দাঁড়ায়। শহরের দোকানপাট সব বন্ধ, অর্থ সংকট। শুধু একটি মদের দোকান আছে। নাম ওল্ড ওক। ব্যালানটাইন নামের এক খনি শ্রমিক এটি চালান। শহরের শেষ মদের দোকানের মতোই এটাও লোচের শেষ ছবি, এই দুঃখজনক সত্যটিই এখন সবার মুখে মুখে।
সিনেমায় কেন লোচের কীর্তি সকলেরই জানা। অথচ প্রথম জীবনে সিনেমায় ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা ছিল না তার। ভ্যারাইটিতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্মাতা জানিয়েছেন, আইনজীবী হওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। সেজন্য সেন্ট পিটার্স কলেজে, অক্সফোর্ডে পড়াও শুরু করেছিলেন তিনি। বার পরীক্ষা দিয়ে পাশ করার ইচ্ছাও হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ মনে হয়েছে, ‘এসব আমার জন্য নয়’। এরপর তিনি নাটক নিয়ে ব্যস্ত করে ফেললেন নিজেকে।
লোচের বেশিরভাগ সিনেমাই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তৈরি। কিন্তু সম্পর্ক নিয়েও ছবি আছে তার, যেমন ‘অ্যা ফল্ড কিস’। তার ১৯৯৮ সালের ‘মাই নেম ইজ জো’ প্রেমে পড়ে মদ থেকে দূরে থাকার জন্য এক ব্যক্তির সংগ্রাম নিয়ে তৈরি। এই ছবির শেষটা চমকে যাওয়ার মতো।
‘দ্য উইন্ড দ্যাট শেকস দ্য বার্লি’ ছবিটি দিয়ে ২০০৬ সালে প্রথম স্বর্ণ পাম জিতেছিলেন কেন লোচ। এরপর ‘আই, ড্যানিয়েল ব্লেক’ ছবির জন্য ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো স্বর্ণ পাম জয় করে নিয়েছেন কেন লোচ। ‘দ্য ওল্ড ওক’ও কই জিতে নেবে পাম দ’র?
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস