চট্টগ্রামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে সফরকারীদের ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছিল টিম টাইগার্স। মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় টি-টুয়েন্টিও চট্টগ্রামে। বন্দরনগরীতেই সিরিজ নিশ্চিত করার হাতছানি বাংলাদেশের। শেষ দুটি ম্যাচ হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে একদমই লড়াই করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে খানিকটা চাপে রাখতে পেরেছে সফরকারী দলটি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিং ঝড়ে অবশ্য শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে থাকতে পারেনি সিকান্দার রাজার দল।
১৩৯ রানের লক্ষ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯ বল হাতে রেখে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। হৃদয় ২৫ বলে ৩৭ ও মাহমুদউল্লাহ ১৬ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তার আগে জাকের আলী ১২ বলে ১৩ রান করে ফেরেন। হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৪৯ রান যোগ করে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশের জয়।
শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। ওপেনিং জুটি ভাঙে পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে। দলীয় ৪১ রানের মাথায় ১৯ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচে ফিফটি পাওয়া তানজিদ হাসান তামিম। দশম ওভারে নাজমুল হোসেন শান্ত (১৫ বলে ১৬) ও লিটন দাস (২৫ বলে ২৩) ফিরলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে কয়েকদফা খেলা বন্ধ হয়।
রানরেটে পিছিয়ে পড়ায় শঙ্কা বাড়ে ডাকওয়ার্থ ও লুইস মেথডে হেরে যাওয়ার। সবশেষ যখন বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয় তখন ১০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে মোটে ৬২ রান। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে আক্রমণাত্মক মেজাজ দেখিয়ে জয়ের পথ সহজ করে নেয় টাইগার দল।
জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ের শুরুটা যেন আগের ম্যাচেরই পুনরাবৃত্তি। এবার ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়ে একশর গণ্ডি পেরোয় জোনাথন ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান ব্যানেটের প্রতিরোধে। জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথন আন্তর্জাতিক অভিষেকে ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন।
তারপরও অবশ্য বাংলাদেশের লক্ষ্যটা ছিল নাগালেই। সফরকারীরা ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান তোলে। আগের ম্যাচে ৪১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও ১২৪ রান তুলেছিল তারা। সে পথ আরও একবার অনুসরণ করল দলটি। ব্যানেটের অপরাজিত ২৯ বলে ৪৪ রানের ইনিংসের সুবাদে মাঝারি সংগ্রহ পায় সিকান্দার রাজার দল।
এরপর ধুঁকতে থাকা দলটি ৪২ রানে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। সেখান থেকে জোনাথন ও ব্যানেটের ৭৩ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে জিম্বাবুয়ে। দলীয় সংগ্রহ চলে যায় দেড়শর কাছে। রিশাদ ছাড়াও দুটি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।