আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল নিশ্চিত। হারলে সমীকরণের মারপ্যাঁচ, আফগানদের শেষ চারের স্বপ্নেও লাগবে হাওয়া। এমন বাস্তবতায় আফগানদের দেয়া লক্ষ্য তাড়ায় ৮.২ ওভারে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটি। হ্যাটট্রিক বলের সামনে এসে দাঁড়ান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সেখান থেকেই বাজিমাত। ডাবল সেঞ্চুরির এক ইনিংস খেলেন ৩৫ বর্ষী তারকা। অতিমানবীয় ইনিংসটি বেশ মজা করেই নাকি খেলেছেন ম্যাক্সি, ম্যাচ শেষে জানান ডানহাতি তারকা ব্যাটার।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাক্সওয়েলের অপরাজিত ২০১ রানের ইনিংসে খাদের কিনারা থেকে ৩ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
১২৮ বলে ২১টি চার ও ১০টি ছক্কায় ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংসটি খেলেছেন ম্যাক্সওয়েল। প্যাট কামিন্সকে নিয়ে অষ্টম উইকেট জুটিতে তোলেন ২০২ রান। যার মধ্যে কামিন্সের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। এজন্য অজি অধিনায়ক মোকাবেলা করেন ৬৮ বল।
ম্যাচ শেষে ম্যাক্সওয়েল বলেছেন, ‘মুহূর্তটি এখনও তরতাজা, আমি আসলে স্তব্ধ হয়ে গেছি। এটা খুব মজার ছিল। মনে হচ্ছিল আমি এবং প্যাট মাঠে মজা করছি। চোট হয়ত আগামী কয়েকদিন ভোগাবে। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠব।’
সেঞ্চুরিতে পৌঁছানোর পর বেশিরভাগ সময়ই ক্র্যাম্পের কারণে অসস্তিতে ছিলেন ম্যাক্সওয়েল, চোটজনিত কারণে মাঠ থেকে উঠেও আসতে চেয়েছিলেন। ওই সময় প্রস্তুত থাকা অ্যাডাম জাম্পাকে বেশ কয়েকবার দেখা যায় ডাগআউট থেকে বেড়িয়ে আসতে। তবে ফিজিওর কথা থেকে উল্টো প্রেরণা পান অজিদের মারকুটে ব্যাটার।
‘আমার পিঠে এবং পায়ে কিছু থেরাপি দেয়ার পর কিছুটা ভালো অনুভব করি। ওই সময় ফিজিও আমাকে বলেছিলেন সিঁড়ি বেয়ে ফিরে আসাটাও আমার জন্য কঠিন হবে। এটি সম্ভবত আমার মাঠের কাজটিকে আরও সহজ করে তুলেছে।’
‘আমরা ক্রিজে ফিরে এসে সিদ্ধান্ত নিলাম দুজন প্রান্ত বদল করব না। পরে আমি শুধু বাউন্ডারি মারার দিকেই নজর দেই। মাথা থেকে ঝেরে ফেলে দেই অন্যপ্রান্তে কী হচ্ছে। ওই সময়টাতে আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রানও পাচ্ছিলাম।’
‘আমরা জানতাম রশিদের তখনও ১৮ বল বাকি ছিল। যা শেষ ১৩ ওভারে বা ওই সময়ের দিকে আমাদের সামনে আসবে। তাই এর আগের সময়টাতে আমরা চেয়েছিলাম অন্যদের থেকে যত বাউন্ডারি আদায় করে নেয়া যায়।’
ম্যাক্সওয়েল একবার এলবিডব্লিউ আউট হয়েছিলেন, রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। পাশাপাশি তার একটি ক্যাচও ফেলে দেন মুজিব। ম্যাক্সওয়েল বলছেন, ‘এলবিডব্লিউতে জীবন পাওয়ার পর আরও ভালো খেলার চেষ্টা করি। ফ্লাডলাইটের নিচে বলে সুইং করছিল। তারা দারুণ বোলিং করেছে। যদি ক্যাচ মিসের কোনো সুযোগ না দিতাম, তাহলে জিনিসটা আরও ভালো হতো, তবে সেই সুযোগটাই আমি কাজে লাগিয়েছি।’