তিন বছর আগে প্রায় ৯৮ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রেখে শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। ২০২৩ সালের জুনে কাজ শেষের কথা থাকলেও বাজেট স্বল্পতার কারণে তা হয়নি। সবমিলিয়ে সংস্কার কাজে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে বলে জানানো হয়। পরে বাজেট আরও বাড়িয়ে তা পৌনে দুইশ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। বারবার বরাদ্দ ও সময়সীমা বাড়িয়েও কাজ শেষ না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সন্তুষ্ট নন ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, দিলেন পরিষ্কার বার্তা। আগামী বৃহস্পতিবার নিজ চোখে স্টেডিয়াম পরিদর্শন করবেন বলেও জানালেন।
মঙ্গলবার বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে দেখতে তার বাসায় যান ক্রীড়ামন্ত্রী। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম নিয়ে কড়া সাফ দেন।
‘ফুটবল ফেডারেশনের বড় সমস্যার মধ্যে একটা তো অবশ্যই খেলার মাঠ নেই। তারপর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামটা এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ হয়ে আছে। খেলার কোনো জায়গা নেই। এটা বড় সমস্যা, অস্বীকারের পথ নেই। আমি বলেছি, পরশুদিন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম দেখতে যাচ্ছি। আর যাতে কোনোভাবেই দেরি না হয়, কাজ যাতে তাড়াতাড়ি শেষ করা যায় সেই চেষ্টা করা হবে। নতুন যে সময়সীমা দিয়েছে, সেটার ভেতর কাজ শেষের জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব।’
‘আসলে ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে আমি ইতিমধ্যে আলোচনায় বসেছিলাম। উনাদের প্রধান ইস্যুগুলো আমি শুনেছি। আজকে যেহেতু বাফুফে সভাপতির সাথে দেখা করতে আসলাম, উনিও কয়েকটা সমস্যায় কথা বলেছেন। উনাদের সমস্যার কথাগুলো শুনেছি। আমি বলেছি, ঠিক আছে আপনি একবারে সুস্থ হয়ে আসেন। আমি কিছু কাগজপত্র চেয়েছি। উনাকে বলেছি এর মধ্যে যদি পারেন, তাহলে কিছু কাগজপত্র পাঠান। এগুলো দেখে পরবর্তীতে কী করা যায়, আমরা দেখব। উনাদের খেলার কোনো জায়গা বের করা যায় কিনা, সেটা অবশ্যই আমি দেখব।’
সংস্কারের নামে দেশের ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামের পেছনে বিশাল অর্থ ব্যয় করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তবু সংস্কার কাজে হচ্ছে দীর্ঘ বিলম্ব। যার ফলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেড়ারেশন মাঠের অভাবে পড়েছে। চলতি বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সব ম্যাচ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে চেয়েছিল বাফুফে। যদিও সেটি সম্ভভবে না। কারণ ৩১ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হবে। এর আগে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে না।