অজিদের টপঅর্ডার ব্যাটার উসমান খাজা আইসিসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন। ইসরায়েলের অভিযানের শিকার ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সমর্থনে বার্তা প্রদর্শনের ইচ্ছার জন্য তুমুল আলোচনায় রয়েছেন ৩৭ বর্ষী ক্রিকেটার। এবার ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির দ্বৈতনীতির প্রমাণ তিনি সামনে হাজির করলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নতুন ভিডিও পোস্ট করেছেন খাজা। সেখানেই তিনি আইসিসির দ্বৈতনীতির প্রমাণ সামনে আনেন।
গত শুক্রবার এমসিজিতে বক্তৃতায় খাজা বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে আইসিসি তাদের নিজস্ব নিয়মগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রয়োগ করছে।
সোমবার বড়দিনে ইনস্টাগ্রামে ভিডিওর শুরুতে আইসিসির পোশাক এবং সরঞ্জামের নিয়মকানুন তুলে ধরা হয়। যেখানে উল্লেখ করা আছে যে রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা জাতিগত কারণে ব্যক্তিগত বার্তাগুলোকে অনুমোদন দেয়া হবে না।
এরপর ভিডিওটিতে অতীতে ক্রিকেট মাঠে খেলোয়াড়দের ধর্মীয় বার্তা প্রদর্শনের তিনটি ঘটনা দেখানো হয়। প্রথমে দেখা যায়, নিকোলাস পুরান তার ব্যাটের পেছনে একটি ক্রুসের চিহ্ন রয়েছে। এটিকে যিশুর ক্রুসবিদ্ধের ঘটনাকে উপস্থাপন কয়া হয়। খ্রীষ্টধর্মের সর্বাধিক পরিচিত প্রতীক ক্রুস।
দ্বিতীয় ভিডিওটিতে অজিদের আরেক ব্যাটার মার্নাস লাবুশেনের ব্যাটের পেছনে একটি ঈগলের প্রতীক রয়েছে। বাইবেল অনুযায়ী এটিও একটি শান্তির প্রতীক। আইসিসির অনুমতি নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে স্টিকারটি ব্যবহার করছেন লাবুশেন।
সাউথ আফ্রিকার ক্রিকেটার কেশব মহারাজ ‘ওম’ প্রতীক তার ব্যাটের সামনের অংশে লাগিয়েছেন। ওম হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের পবিত্রতম ও সর্বজনীন প্রতীক, পবিত্র শব্দ বা মন্ত্র।
পুরান, লাবুশেন ও মহারাজের ধর্মীয় বার্তা প্রদর্শনে আইসিসি বাধা নেয়নি। তবে গাজায় মানবিক সংকট সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে খাজার উদ্যোগে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভিন্ন আচরণ করছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনে স্লোগান লেখা জুতা পরে খেলতে চেয়েছিলেন খাজা। জুতায় লেখা ছিল- ‘সব প্রাণই সমান’, ‘স্বাধীনতা সকল মানুষের অধিকার’।
এধরনের বার্তা নিয়ে মাঠে নামার আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অনুমতি নিয়েছেন খাজা। তবে ‘ম্যাচ ডে’তে এমন বার্তা বহনে খাজাকে ‘রাজনৈতিক বক্তব্যের’ আইন দেখিয়ে অনুমতি দেয়নি আইসিসি।
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার কালো আর্মব্যান্ড পরায় আইসিসির মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘উসমান খাজা আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনের পোশাক ও সরঞ্জাম নিয়মের ‘এফ’ ধারা ভঙ্গ করেছেন। যার শাস্তি হিসেবে তাকে তিরস্কার করেছিল আইসিসি।