এশিয়া কাপে সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল না লোকেশ রাহুলের। কলম্বোয় টসের মাত্র কয়েক মিনিট আগে কোচ রাহুল দ্রাবিড় জানিয়েছিলেন, তিনি খেলবেন। ম্যাচে পানি টানবেন এমন ভেবে কিটব্যাগ হোটেলে রেখে আসা রাহুল প্রেমাদাসায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সব ব্যবস্থা করে ফেলেন। মাঠে নেমে করেন অপরাজিত সেঞ্চুরিও।
ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতকের পর সংবাদমাধ্যমে ডানহাতি রাহুল বলেছেন, ‘টসের মাত্র পাঁচ মিনিট আগে, রাহুল ভাই আমাকে বলেন তোমাকে খেলা লাগতে পারে, কারণ শ্রেয়াসের পিঠে সমস্যা। প্রায় শেষমুহূর্তে আমাদের ম্যানেজার হোটেলের পথে দৌড়ান আমার জিনিসপত্র আনার জন্য। আমার ক্যারিয়ারে বেশ অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। এটাই প্রথম ঘটনা নয়। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে।’
‘মানসিকভাবে মনে হয় যখন আমাকে এমন পরিবেশে ঠেলে দেয়া হয়, সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করি। এমন সময় এমন পারফরম্যান্স করতে পেরে আমি খুশি। মনে হয় এটা এমন একটি লক্ষণ যে, আমার খুব বেশি ভাবার দরকার নেই। আমার সেখানে যেতে হবে এবং ক্রিকেট উপভোগ করতে হবে। এটাই আমার শিক্ষা।’
২০১৬ সালে রাহুল এমন একটি ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন। রাজকোটে গুজরাট লায়ন্সের ম্যাচ ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের বিপক্ষে। টসের সময়ও রাহুল একাদশে ছিলেন না। পরে মানদ্বীপ সিংয়ের হাতে ব্যথায় সুযোগ পেয়ে ফিফটি করেন।
নির্বাচকদের আস্থা অর্জন করা রাহুল গত সপ্তাহে সুপার ফোরের ম্যাচ খেলতে দলে যোগ দিয়েছেন। দলের ম্যানেজমেন্টও রাহুলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেছেন, ‘গত ১০ দিনে আমাকে তিনটি পরীক্ষা করাতে হয়েছে। দুটি ইয়ো ইয়ো টেস্ট, দুটি প্রাকটিস ম্যাচ। হ্যাঁ, চার মাস ধরে আমার প্রচুর শক্তি ছিল। আশা করছি শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও এটা ধরে রাখতে পারব।’