পাখিসহ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে দেশে এয়ারগান ব্যবহার ও বহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চালু থাকবে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশেই এয়ারগান একটি পরিচিত আগ্নেয়াস্ত্র। সচরাচর পাখি শিকারেই এই অস্ত্র ব্যবহার হয়ে থাকে। যদিও পাখি শিকারও নিষিদ্ধ।
শীতকালে অতিথি পাখি আসার মৌসুমে পাখি শিকার বেড়ে যায়, তার আগেই এয়ারগানের উপর নিষেধাজ্ঞা এল।
রাষ্ট্রপতির আদেশে প্রজ্ঞাপন জারির কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “দেশের জীববৈচিত্র্য, পাখি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিশ্চিত কবার লক্ষ্যে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ৪৯ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতা বলে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এয়ারগান ব্যবহার বা বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্র এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। যেমন: শুটিং ক্লাব ও বনাঞ্চল সন্নিহিত এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠী।
এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “তবে শর্ত থাকে যে, জাতীয় শুটিং ফেডারেশন কর্তৃক নিবন্ধিত শুটিং ক্লাব ও বনাঞ্চল সন্নিহিত এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠী তাদের নিরাপত্তা, দৈনন্দিন প্রয়োজন ও সামাজিক প্রথার কারণে উক্তরূপ নিষেধাজ্ঞার আওতার বহির্ভূত থাকিবে।’’