চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে দু’দিনের সফরে বেইজিংয়ে গিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। ৫ বছরে প্রথমবারের মতো চীনে গেলেন কোনো মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক। আজ চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং এর সাথে আলোচনায় বসেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই আলোচনায় মূলত উঠে এসেছে ৩টি বিষয়।
বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন চীন সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ তিনি আজ চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং এর সাথে একটি বৈঠকে যোগদান করেছেন। এখন পর্যন্ত জানা তথ্য অনুযায়ী এই বৈঠকে উঠে এসেছে দুই দেশের সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়।
প্রথমত, এই বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে দুই দেশের মধ্যে সকল প্রকার কূটনৈতিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের বিষয়টি। বিগত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। বিশেষ করে ইউক্রেন রাশিয়া ইস্যুকে কেন্দ্র করে। তবে এই আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটানোর সম্ভাবনা খুবই কম।
দ্বিতীয়ত, দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাত পরিহারের বিষয়টিও প্রাধান্য আজকের আলোচনায়। এবছর যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো চীনের বেলুনকাণ্ডের পর থেকে কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয় রাশিয়ায় অস্ত্র পাঠানোর কথা ভাবছে চীন। অন্যদিকে বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র। যা দুই দেশের অন্তর্দ্বন্দ্বের একটি বড় কারণ।
তৃতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে এই বৈঠকে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এ ইস্যুটি নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে চাচ্ছে দুটি দেশই।
তবে চীনা কর্মকর্তারা ব্লিংকেনের এই সফরে তুষ্ট নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সংশোধনের চেষ্টায় আন্তরিক কিনা এমন প্রশ্নই তুলেছেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে এই সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন আজ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।