ব্যাটিং-বোলিং কোন বিভাগেই জ্বলে উঠতে পারছিলেন না সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে কিছু সমালোচনাও হচ্ছিল। এমন এক ম্যাচে এই অলরাউন্ডার জবাব দিলেন, যখন কিনা একটি জয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ সেই জয়ের পর সাকিব বলছেন, এখন শুধু সামনের কথাই ভাবা যায়।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৫ বলে ১১৪ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলে দলকে জেতান সাকিব। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ২২৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন। ১০৭ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে যান মাহমুদউল্লাহ।
দুই সেঞ্চুরিতে কার্ডিফ জয় হল টাইগারদের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে নিউজিল্যান্ডকে বিদায় করে সেমির দরজায় কড়া নাড়ছে টিম বাংলাদেশ। অবিস্মরণীয় জয়ের পর আরও সামনে তাকাতে চান ম্যাচসেরা সাকিব।
ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আইসিসির কোন টুর্নামেন্টে ম্যাচ জেতা মানেই বিশেষ কিছু। গত দুই বছর আমরা যেভাবে খেলেছি এবং এখন যেভাবে খেলছি, এখন শুধু সামনের কথাই ভাবা যায়।’
সাকিব যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন ইনিংসের কেবল পঞ্চম ওভার। টিম সাউদির সিম বোলিংয়ের সামনে বিপর্যস্ত দল। ৩৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে। সেখান থেকে লড়াই চালিয়ে যখন আউট হন, জয় থেকে মাত্র ৮ রান দূরে দল। সাকিবের বিদায়ের পরই চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জয়ের আরেক নায়ক মাহমুদউল্লাহ।
বল হাতে তিন উইকেট নেয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৮ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
২০০৫ সালের ১৮ জুন এ মাঠেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল বাংলাদেশ। এক যুগ পর আবারও এক ইতিহাসের সাক্ষী কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্স। এই জয়ই হয়তো বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে প্রথমবারের মত আইসিসির কোন টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে। শনিবার ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে সেমি নিশ্চিত করা ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিলেই বাংলাদেশের সেমিফাইনাল নিশ্চিত।
আর বৃষ্টিতে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশই সেমিফাইনাল খেলবে। সাকিব তো সামনে তাকাবেনেই!