অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিজয় দিবসের প্রাক্কালে ৪২ দশমিক শুন্য ৯ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ জাতির জন্য অবশ্যই এক বড় উপহার।
তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে এই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আমাদের জন্য বড় সুখবর। এটি দেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। করোনা সংকটের মধ্যে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা কষ্ট করে অর্থ পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রেখেছেন।
মঙ্গলবার রাতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রবাসী আয় এসেছে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে সরকারের এ অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ অর্জন সেই প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনার মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও নিয়মিত রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। কঠিন সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করেছে। অর্থনীতির চাকাকে বেগবান রাখতে বড় অবদান রাখছে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও শুধু ডিসেম্বরের ১৪ দিনে ১ দশমিক শুন্য ৩৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত অর্থবছরের ঠিক এই সময়ে যা ছিল ৮৬৯ মিলিয়ন ডলার।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে মোট ১০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।
পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসে এ যাবতকালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ দশমিক শুন্য ৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। গত এক বছরে রিজার্ভ বেড়েছে ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। গত ২৯ অক্টোবর তা প্রথমবারের মত ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে তা দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক শুন্য ৯ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ডে। রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে রেমিট্যান্স গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে অর্থমন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।