ডারবান টেস্টে সাউথ আফ্রিকার হারের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়ে ছিল চতুর্থ দিনেই। দেখার ছিল পঞ্চম দিনে অস্ট্রেলিয়ার জয় কতটা বিলম্ব করতে পারে স্বাগতিকরা। এক উইকেট হাতে নিয়ে শেষদিনের সেই লড়াইটা মাত্র ২২ বল স্থায়ী করতে পেরেছে প্রোটিয়ারা। অজিরা জিতেছে ১১৮ রানের বড় ব্যবধানেই।
সাউথ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গিয়েছিল ১৬২ রানে। চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য তাদের ৪১৭ রান বেধে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টাও করেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু মার্করাম-ডি কক ছাড়া বলার মত অবদান রাখতে পারেননি বাকি ব্যাটসম্যানরা।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ৩৫১ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৭ রান তুলে চারশ পেরোনো লিডের যে বোঝা চাপিয়ে দেয়, তার সামনে প্রোটিয়ারা চতুর্থদিন শেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ১৯৩ রান তুলে। জিততে আরও ১২৪ রান দরকার ছিল। কিন্তু উইকেটে শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ছিলেন কেবল কুইন্টন ডি কক।
ডি ককের সঙ্গী ছিলেন ২৭ বল খেলে রানের খাতা খুলতে না পেরে অপরাজিত থাকা মরকেল। শেষদিনেও মরকেলকে ফেরাতে পারেনি সফরকারীরা। ৪৩ বলে ৩ রানে অপরাজিত থাকলেন আফ্রিকান পেসার। তবে ৮১ রানে অপরাজিত ডি কক আর মাত্র ২ রান যোগ করার পর সাজঘরে ফিরলে অবধারিত ফল দেখে ডারবান টেস্ট। হ্যাজেলউড শেষ উইকেটটি তুলে নেন ডি ককে এলবি করে।
তার আগে চতুর্থদিনে চারশ পেরোনো লক্ষ্যের জবাব দিতে নেমে এলগার ৯, আমলা ৮, ডি ভিলিয়ার্স শূন্য এবং অধিনায়ক ডু প্লেসিস ৪ রানে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেলে দলীয় সংগ্রহ পঞ্চাশের আগেই ধুঁকতে শুরু করে প্রোটিয়ারা।
পরে দুটি জুটির গল্প। প্রথমটি ডি ব্রুইনকে (৩৬) নিয়ে ওপেনার মার্করামের যোগ করা ৮৭ রান, পরেরটি মার্করাম ও ডি ককের জুটিতে আসা ১৪৭ রান। মার্করাম মিচেল মার্শের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ১৪৩ রানে থাকার সময়, প্রোটিয়াদের আশার বাতিও বুজে আসতে শুরু করে তখন থেকেই। ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতকটি ১৯ চারে সাজিয়ে ২১৮ বলে খেলা, ৩৪০ মিনিট দীর্ঘ সময় ধরে।
মার্করাম ফেরার পর ফিনল্যান্ডার ৬ ও রানের খাতা না খুলে মাহরাজ এবং রাবাদা ফিরে যান। ডি কক তখন একপ্রান্তে ঠায় দাঁড়িয়ে। তখনই আসলে ম্যাচের শেষটা এসে পড়েছিল। কিন্তু মরকেল ও ডি কক দিনের শেষ ৯ ওভার নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিলে আনুষ্ঠানিকতা গড়ায় পঞ্চম দিনে। যেটার শেষ টানতে মাত্র ২২ বল খেলতে হল স্টিভেন স্মিথের দলের!