ঘটনার প্রায় ১৩ বছর পর আর সাক্ষী শুরুর সাড়ে আট বছর পর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ১২ জুন আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন কার্যক্রম শুরু হবে। সাক্ষ্যের মাধ্যমে মামলা প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হওয়ার মামলার বিচার শুরু হয়েছিলো ২০০৮এ, ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সময়। এরপর ৬১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর ২০০৯ সালে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আদালতের নির্দেশে মামলার অধিকতর তদন্ত হয়। সিআইডির ওই তদন্তে নতুন করে অভিযুক্ত হন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, ওই সময়ের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, পুলিশের সাবেক তিন আইজি, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের সাবেক প্রধানসহ ৩০ জন। চার্জশিটের পর ২০১২ সালের ২৮ মার্চ আবারো শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ, যা শেষ হলো মঙ্গলবার।
আসামিপক্ষকে সব ধরনের আইনি সুযোগ দেয়ায় সাক্ষ্য শেষ হতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মামলার সর্বশেষ সাক্ষী ছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির এডিশনাল ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দ। সাক্ষ্যের শেষ দিন তাকে জেরা করেন আসামি আব্দুস সালাম পিন্টুর আইনজীবীরা।