করোনা ভাইরাসের কারণে একবছর পিছিয়ে দেয়া হল ২০২০ ইউরো কাপের আসর। মঙ্গলবার ইউরোপের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার ৫৫ সদস্যের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় বিশ্বকাপের পর সবচেয়ে বড় এ ফুটবল আসর।
২০২০ সালের পরিবর্তে ২০২১ সালের গ্রীষ্মে মাঠে গড়াবে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টটি। চলতি বছরের ১২ জুন থেকে ১২টি ভেন্যু জুড়ে শুরু হওয়ার কথা ছিল প্রতিযোগিতা।
বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে থমকে গেছে ক্রীড়া ইভেন্টগুলো। ইউরোপে বন্ধ হয়ে গেছে সব ফুটবল লিগ। স্থগিত করা হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ও ইউরোপা লিগ। ঝুলে ছিল ইউরোর ভাগ্য। সমস্যার সমাধান বের করতে মঙ্গলবার ইউরোপিয়ান সময় দুপুর ১টায় ৫৫ সদস্যের প্রতিনিধির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে বসেন উয়েফা প্রধান আলেক্সান্ডার সেফেরিন। যাতে ঠিক করা হয়েছে থমকে যাওয়া লিগগুলোর ভবিষ্যৎ, ইউরোর ভাগ্যও।
সভায় ইউরোর সূচি ছাড়াও আলোচনা করা হয়েছে লিগগুলো নিয়ে। ইউরো স্থগিত হওয়ায় করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি শেষ হওয়া মাত্রই শুরু হবে লিগগুলো। উয়েফা নেশন্স লিগ ও অনূর্ধ্ব-২১ টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেয়া হয়েছে আগামী মৌসুম পর্যন্ত।
ইউরো পেছানোর কারণে বেশ বড়রকম একটি আর্থিক ধাক্কাই খেতে চলেছে উয়েফা। সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সদস্যদের নিয়ে ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর সংহতি তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান সেফেরিন।
ক্রীড়া সাংবাদিক তারিক পাঞ্জা টুইটারে জানিয়েছেন, চলমান সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য দুই দল কার্যনির্বাহী সভা গঠন করা হয়েছে। একদল কাজ করবেন সূচি ঠিক করার পেছনে, আরেক দল দেখবে আর্থিক বিষয়টি।
ইউরোর মতো কোপা আমেরিকাও ২০২১ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন পাঞ্জা।