আসা-যাওয়াতেই ব্যস্ত থাকলেন মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার তামিম-মাহমুদউল্লাহরা। স্কোরবোর্ডে তুলতে পারেননি চ্যালেঞ্জিং স্কোর। সিলেট সানরাইজার্সকে দিতে পেরেছেন সবে ১০১ রানের লক্ষ্য।
মঙ্গলবার হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকা ৯ রানের মাথায় ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদের উইকেট হারায়। সোহাগ গাজীর বলে ডাউন দ্য উইকেট খেলতে গিয়ে ৫ রান করা আফগান স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন।
প্রথম দুই ম্যাচে ফিফটি পাওয়া তামিম ইকবাল গত ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে রান পাননি। এদিন তার ব্যাট থেকে এসেছে কেবল ৩ রান। সিলেট অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।
জহুরুল ইসলাম ৪ রান করে সোহাগের বলে মিঠুনের তালুবন্দি হন। আরও বেশি চাপে পড়ে যায় ঢাকা। স্কোরবোর্ড হয়ে যায় ৩ উইকেটে ১৭।
চতুর্থ উইকেটে ওপেনার নাঈম শেখকে নিয়ে শুরুর চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টাইগারদের টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় নাঈম ছিলেন একেবারেই বিপরীত। অতি-রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করে দলকে অস্বস্তিতে রাখেন।
এই জুটি ৪০ রানে যাওয়ার পর নাজমুল ইসলাম অপুর বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গেলে এলবিডব্লিউ হন নাঈম। সাজঘরে ফেরেন ৩০ বলে ১৫ রানের মন্থর ইনিংস খেলে।
খানিক পর ক্যারিবীয় তারকা আন্দ্রে রাসেল ফিরে যান। কোনো রান না করেই। অপুর বলে এলবিডব্লিউয়ে কাটা পড়েন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে রাসেল ছিলেন অসন্তুষ্ট। তার আউট নিয়ে রিয়াদকেও আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। পরে দেখা গেছে বল আগে রাসেলের ব্যাটে লেগেছিল।
২৬ বলে ৩৩ রান করা রিয়াদকে সাজঘরে পাঠান অপু। প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে ফাইন লেগে তাসকিনের ক্যাচ হন।
৬৮ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর ক্রিজে আসেন চোটের কারণে প্রথম তিন ম্যাচ খেলতে না পারা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। দুই রানের বেশি অবশ্য করতে পারেননি। তাসকিনের বলে পয়েন্টে তালুবন্দি হন সাঞ্জামুলের।
হাল ধরার চেষ্টা করা শুভাগত হোম ১৬ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ২১ রান করে থামেন, লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। অপুর চতুর্থ শিকারে পরিণত হন।
তাসকিনের বলে উদানা আউট হলে একশ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে ঢাকা। রুবেল অবশ্য সেটি হতে নেননি। ৬ বলে এক চার ও এক ছয়ে ১২ রান করে তাসকিনের শিকার হন, তার আগে ১৮.৪ ওভারে ঠিক ১০০ রানে পৌঁছে দেন দলকে। ঢাকা অলআউট ওই রানেই।
সিলেটে সবচেয়ে সফল নাজমুল অপু, ৪ ওভারে এক মেডেনে ১৮ রানে নেন ৪ উইকেট। তাসকিন ২২ রানে নেন ৩ উইকেট। সোহাগ গাজী ২টি ও মোসাদ্দেকের পকেটে গেছে একটি করে উইকেট।