‘বিপিএলে প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার। আসলে হ্যাটট্রিক করা যায় না, হ্যাটট্রিক হয়ে যায়। আমি শুধু ভালো জায়গায় বোলিং করার চেষ্টা করেছি।’ বিপিএলে অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে রেকর্ড গড়া আলিস আল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে শেষ প্রশ্নের জবাব দিলেন এভাবেই।
হ্যাটট্রিক করে দলকে জেতাবেন, এমন ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামার নজির কারও নেই। সেটি অসম্ভবও, যেকোনো বোলারের পক্ষেই। ক্রিকেটের এই আপ্তবাক্যটি ২২ বছরের তরুণ অফস্পিনার আলিসের কণ্ঠ থেকে বের হওয়ায় মোহিত হলেন সামনে বসা সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন-
জিরো থেকে হিরো ‘হ্যাটট্রিকম্যান’ আলিস ইসলাম
নেট বোলার থেকে বিপিএল কাঁপানো কে এই নবীন?
রোমাঞ্চের পারদচড়া ম্যাচে মাশরাফীদের হারালেন সাকিবরা
হ্যাটট্রিক করে মুগ্ধতা জাগানো এই তরুণ অফস্পিনার কথার সাবলীলতাতেও পেলেন লেটার মার্কস! হ্যাটট্রিক প্রসঙ্গে শেষের উত্তরটি শুনে সংবাদকর্মীরা এক প্রকার বাহবাই দিয়ে দিলেন তাকে।
নেট বোলার হিসেবে আলিসের ঢাকা ডায়নামাইটসে আসা ও পরে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্তি, শেষে একাদশে জায়গা পাওয়ার ঘটনা জাগায় বিস্ময়। সেই ঘোর কাটার আগেই হ্যাটট্রিক করে জাগান মহাবিস্ময়। বিপিএল অভিষেকে হ্যাটট্রিক করা প্রথম বোলার সাভারের আলিস।
প্রথম বিভাগ লিগ থেকে উঠে আসা আলিস জীবনে প্রথমবার খেললেন কোনো স্টেডিয়ামে। সেটিও আবার বিপিএলের মঞ্চে, শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। গ্যালারিভরা দর্শক আর রোমাঞ্চকর ম্যাচের উত্তেজনায় কিছুটা নাভার্স থেকেও পরে সফল হয়েছেন বল হাতে।
প্রথমবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে এসেও নাভার্স বলে জানালেন হ্যাটট্রিকসহ ৪ উইকেট নিয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ঢাকার জয়ের নায়ক আলিস। স্নায়ুচাপ নিয়েও যেভাবে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন, তাতে মাঠের বাইরেও তাকে সফলই বলা যায়!