বিশ্বের সব দলই হোম অ্যাডভান্টেজ নেয় নিজেদের শক্তির জায়গা অনুযায়ী। বাংলাদেশ যেমন তা নিচ্ছে স্পিনিং উইকেট বানিয়ে। গত অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাফল্যের মূলে ছিল স্পিন-সহায়ক উইকেট। একই ধরনের উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও দারুণ লড়াই করছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সিরিজ এলে যে ধরনের উইকেটে খেলা হয় ঘরোয়া ক্রিকেটে তার চর্চা হয় কতটা, এমন প্রশ্ন তামিম ইকবালের।
‘আমাদের হোম অ্যাডভান্টেজ পাওয়া উচিত। কিন্তু এই ধরনের উইকেটে ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা কতটা খেলি? আমরা খেলি না। আমরা এ ধরনের উইকেটে খেলি আন্তর্জাতিক ম্যাচ এলে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ এলে আমাদের কন্ডিশনটাকে আমাদের জন্য অ্যাডভান্টেজ বলা হয়, আর বিদেশি দলের জন্য যা ডিসঅ্যাডভান্টেজ হয়ে দাঁড়ায়।’
বিদেশ সফরের কথা চিন্তা করে দেশের কয়েকটি ভেন্যুতে ঘাসের উইকেট বানিয়েছে বিসিবি। ঘরোয়া লংগার ভার্সন ক্রিকেটের আসর এনসিএল, বিসিএলের ম্যাচগুলো হচ্ছে সেখানে। তামিম মনে করেন যেহেতু ঘরের মাটিতে বেশি খেলে বাংলাদেশ; সেহেতু নিজস্বতা ধরে রাখাটা জরুরী।
‘ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা ঘাসের উইকেট নিয়ে ব্যস্ত। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেখানে খেলি না। এই চিন্তাগুলো বদলাতে হবে। ঘাসের উইকেটে আমরা দেশের বাইরে খেলি। বছরে একটা-দুইটা ট্যুর করি। আমার কাছে মনে হয়, আমরা যদি এ ধরনের উইকেটে খেলতে চাই বাংলাদেশের মাটিতে, তাহলে ঘরোয়া ক্রিকেটেও এ ধরনের উইকেট করা উচিত। সব মাঠে সম্ভব না হলেও একটা দুইটা মাঠে করা উচিত। এটা হলে নতুনরা অভ্যস্থ হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসবে।’
টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবাল মনে করেন স্পিনিং উইকেট হলেই যে স্পিনাররা বল ফেললেই উইকেট পেয়ে যাবে এমনও নয়। তার মতে উইকেট তোলার কৌশল আছে সেটি শেখার জায়গা ঘরোয়া ক্রিকেট, ‘স্পিনিং ট্র্যাক হলেই জাস্ট একটা স্পিনার এসে বল করে উইকেট পেয়ে যাবে, এমনও না। এটারও একটা কৌশল আছে। যারা আছে, তাদেরও শিখতে সহজ হবে। ঘাসের উইকেটের চিন্তা বাদ দিয়ে এ সব নিয়ে যদি ভালোভাবে চিন্তা করে, তাহলে বেশি কাজে দেবে।’
ছবি: সাকিব উল হাসান