ভারতের নতুন শিক্ষানীতির খসড়া নিয়ে বড় ধরনের বিতর্কের মুখে পড়ল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার। বিশেষ করে তামিলনাড়ুতে এ বিতর্ক যেন তুঙ্গে। তারা হিন্দি ভাষার আগ্রাসন ঠেকাতে উঠে পড়ে লেগেছে।
শুক্রবারই মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। এরপরই তার হাতে নতুন শিক্ষানীতির খসড়া জমা পড়েছে। তাতে স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর এ নিয়েই প্রতিবাদে সরব হয়েছে দক্ষিণের রাজ্যগুলো। এ নিয়ে ভারতজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল সমালোচনা।
সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর টুইটার বার্তায় বলেছেন শিক্ষা নীতি চূড়ান্ত করার আগে অবশ্যই খসড়া শিক্ষা নীতি বিষয়ে সবার সুপারিশ ও পরামর্শ নেয়া হবে। তারা দু’জনেই তামিলনাড়ু থেকে নির্বাচিত।
এতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, গত পঞ্চাশ বছর ধরে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে ‘তিন ভাষা’ চালু আছে, সেটা শুধু বহাল রাখাই যথেষ্ঠ নয়- বরং শিশুদের জন্য আরও অনেক কম বয়সে চালু করা দরকার।
দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেঙ্কাইয়া নাইডু সরকারি নীতির বিরোধী। তিনি বলেছেন, চূড়ান্ত করার আগে অবশ্যই এটি সাধারণ মানুষের বিশ্লেষণ পর্যালোচনা ও আলোচনার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
কেবল তামিলনাড়ু নয় দক্ষিণ ভারতের অন্য রাজ্যগুলো হিন্দির আগ্রাসন ঠেকাতে বদ্ধপরিকর। কর্ণাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কুমারাস্বামি এ নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
তামিলনাড়ুতে স্বাধীনতার আগেও হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। স্বাধীনতার পরেও তা থামেনি। ১৯৬৫ সালে হিন্দিবিরোধী আন্দোলন সংঘর্ষের চেহারা নেয়। এর রেশ ছড়ায় আরও তিন দক্ষিণী রাজ্য তৎকালীন অন্ধ্র প্রদেশ, মাইশোর এবং কেরালায়।