থাইল্যান্ডের গুহা থেকে উদ্ধারের এক সপ্তাহ পর ১২ ক্ষুদে ফুটবলার ও তাদের কোচ হাসপাতাল ছেড়েছেন। থাম লুয়াং গুহা থেকে উদ্ধারের পর থেকেই চিয়াং রাই ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তারা।
বিবিসি জানিয়েছে, একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে আসবেন এই ফুটবল দল ও তার কোচ। সেখানে তাদের কঠিন পরীক্ষার অভিজ্ঞতা বলবেন তারা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিবেন। এরপরেই তারা তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবেন বলে জানানো হয়েছে।
থাইল্যান্ড সরকারের প্রধান মুখপাত্র সানসার্ন কায়েওকুমনার্দ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, সাংবাদিকরা তাদের প্রশ্ন করতে পারবে এবং এরপর তারা তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে। তখন গণমাধ্যম তাদের আর বিরক্ত করবে না।
চিয়াং রাইয়ের প্রাদেশিক গভর্নর প্রাচোন প্রাতসুকান জানান, এটাই হবে তাদের একমাত্র আনুষ্ঠানিক ‘মিডিয়া সাক্ষাৎ’। এরপর গণমাধ্যমের সাথে তাদের এ ব্যাপারে আর কোন কথা হবে না বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিকরা এই কিশোরদের যা যা প্রশ্ন করতে চান তা আগেই জমা দেবেন এবং তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। প্রশ্নগুলো পরীক্ষা করে দেখবেন একজন শিশু মনোচিকিৎসক, যাতে প্রশ্নের ফলে কিশোরদের উপর কোন নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।
এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা)।
এছাড়াও কিছু সময়ের জন্য কিশোরদের বৌদ্ধ সন্নাসীদের রীতি পালন করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। দেশটিতে দুর্ভাগ্যের শিকার হওয়া পুরুষদের জন্য এটি একটি প্রথা।
মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তের কাছে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ থাম লুয়াং গুহা থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম গুহা। গুহাটিতে ঢোকার পর গত ২৩ জুন নিখোঁজ হয় ১২ খুদে ফুটবলার ও তাদের কোচ।
ক্ষুদে ফুটবলারদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। আর তাদের সহকারী কোচ এক্কাপোল জানথাওংয়ের বয়স ২৫ বছর।
এই কিশোররা স্থানীয় ফুটবল দল ওয়াইল্ড বোরসের সদস্য।
নয় দিন সেখানে আটকে থাকার পর ২ জুলাই ব্রিটিশ ডুবুরি রিচার্ড স্ট্যানটন ও জন ভলানথেন তাদের সন্ধান পান।
তিনদিনের উদ্ধার অভিযানে গত ১০ জুলাই গুহায় আটকে পড়া সবাইকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে, ৮ জুলাই চারজন ও ৯ জুলাই চারজনকে উদ্ধার করেন উদ্ধারকারীরা এবং উদ্ধার অভিযানের শেষদিন চার ফুটবলার ও তাদের কোচকে গুহা থেকে বের করে আনেন উদ্ধারকারীরা।
গাঢ় অন্ধকারের মধ্যে হেঁটে, কাদা মাড়িয়ে, কখনো চড়াইয়ে উঠে, আবার কখনো পানির নিচ দিয়ে সাঁতরে ওই কিশোরদের বের করে আনা হয়েছিলো।