যমুনা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানকে চেক প্রতারণার মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া এক বছরের কারাদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি রইস উদ্দিনের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে বাদীপক্ষে ছিলেন এ এফ হাসান আরিফ ও এস এম বকস কল্লোল। আর আরিফুর রহমানের পক্ষে ছিলেন দেলোয়ার হোসেন লস্কর।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ছয় বছর আগে বোরাক রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাছ থেকে নগদ ১৫ কোটি টাকা গ্রহণ করেন যমুনা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান। ওই টাকার বিপরীতে তিনি সমপরিমাণ টাকার চেক দেন। পরবর্তী সময়ে সেই চেক ব্যাংকে দিলে পর্যাপ্ত স্থিতি না থাকায় চেকটি ফেরত (বাউন্স) আসে।
এই ঘটনায় ২০১২ সালে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক প্রতারণা মামলা করে বোরাক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি ওই মামলার রায় হয়। রায়ে এনআই অ্যাক্ট ১৩৮ ধারা মোতাবেক আরিফুর রহমানকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানাসহ ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন রাজধানীর চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমীন ।
পরবর্তীতে সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে আরিফুর রহমান। বিচারিক আদালতের রায়ের পর আরিফুর রহমান সাড়ে সাত কোটি টাকা পরিশোধ করেছিলেন বলে জানান আইনজীবী এস এম বকস কল্লোল।
তিনি আরো জানান, এখন বাকী টাকা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে তার দণ্ড বহাল থাকবে।