সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, সোমবার ত্রাণবাহী ট্রাক বহরে হামলার পর থেকে বন্ধ থাকা জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে।
সিরিয়ার আলেপ্পোতে বৃহস্পতিবারের বিমান হামলাটি ছিলো কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র বরাতে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, হামলায় শহরের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা বুস্তান আল-কাসার পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মোট ১৪টি বোমার আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। বোমা থেকে সৃষ্ট আগুনে আলেপ্পোর রাতের আকাশ উজ্জ্বল হলুদ রং ধারণ করে।
আগুন ছড়িয়ে পড়ে কাছের কাল্লাসা এলাকাতেও। আলেপ্পো পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, বিমান থেকে ছোঁড়া বোমাগুলো ছিলো ফসফরাস বোমা। আগুন লাগানোর উদ্দেশ্যেই সেগুলো ছোঁড়া হয়। ওদিকে, দেরা প্রদেশে একটি গ্রামে আত্মঘাতী বোমা হামলায় এক বিদ্রোহী নেতাসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার আলেপ্পোতে ঢোকার অপেক্ষায় থাকা ত্রাণবাহী ট্রাকের বহরে বিমান হামলার পর ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ ছিলো জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম। হামলার দায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে বাকবিতণ্ডা এখনও চলছে। তবে বৃহস্পতিবার রাজধানী দামেস্কের শহরতলীর মুয়াদামিয়া এলাকায় আবারও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে জাতিসংঘ। এরপর দামেস্কের কাছেরই আরও দু’টি শহর ফোউয়া ও কেফায়া এবং লেবানন সীমান্তের কাছের শহর মাদায়া ও জাবাদানিতে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
হামলার আশঙ্কা থাকলেও, খুব শিগগিরই আলেপ্পোতে আবারও ত্রাণ কার্যক্রম শুরুর ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক প্রতিনিধি।