এবারের হজ ঘিরে ইরান-সৌদি আরবের চির বৈরিতায় নতুন মাত্রা পেয়েছে। সৌদি রাজতন্ত্র ধর্মপ্রাণ ইরানিদের হজ করতে দিচ্ছে না এমন অভিযোগ ইরানের। আর সৌদি আরব বলছে, ইরানের কারণেই এবার সাধারণ ইরানিরা হজ করতে পারবে না।
সৌদি আরবের দাবি এবারের হজে বিক্ষোভ করতে চায় ইরান। হজকে ‘রাজনীতি মুক্ত’ রাখতেই ইরানকে হজ থেকে বিরত রাখার কথা জানিয়েছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদিল আল-জুবেইর।
রোববার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে ইরানকে হজ থেকে দূরে রাখার যুক্তি হিসেবে এমন কথা বলেন তিনি। তার দাবি, হজে বিক্ষোভের অনুমতি চেয়েছিলো ইরান। কিন্তু পবিত্র হজকে রাজনীতিমুক্ত রাখতে সে অনুমতি তাদের দেয়া হয়নি।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শুরু থেকেই ইরান বিরূপ আচরণ করে আসছে এবং তাদের নাগরিকদের হজ পালন ঠেকাতে চাইছে।’
তবে ইরানের সংস্কৃতি ও ইসলামি দিক-নির্দেশনা বিষয়ক মন্ত্রী আলী জান্নাতি (রোববার) বলেন, “সৌদি আরবে দুই দফা আলোচনার সময় সে দেশের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যে আচরণ পেয়েছেন এবং সৌদি শাসকরা এ পর্যন্ত যে বাধা সৃষ্টি করে রেখেছেন তার কারণে দুঃখজনকভাবে এ বছর ইরানের নাগরিকরা হজে যেতে পারবেন না।”
তিনি জানান, ইরানি প্রতিনিধিদল সৌদি আরব সফরের সময় ইরানের হজযাত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে তাদের গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। গত বছরে মিনায় সংঘটিত ভয়াবহ ট্রাজেডির কারণে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু সৌদি শাসকরা তারপরও নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে অস্বীকার করেছেন। ফলে ইরান এ বছর হজযাত্রী পাঠাতে পারছে না।
ইরানের এ মন্ত্রী আরো বলেন, “আমার বিশ্লেষণ ইচ্ছা করেই সৌদি সরকার ইরানি নাগরিকদের হজে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। সে কারণে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করা দরকার ছিল।”