দিনাজপুরে সৎ মা তাপতী রানীকে হত্যা করে পুড়িয়ে ফেলার প্রচেষ্টা মামলায় দুই সৎ ছেলে ও সতীনের মুত্যুদণ্ড ও স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.রেজাউল বারী এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন, নিহত তাপতী রাণীর সৎ ছেলে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ সুজাপুর এলাকার আকাশ চৌধুরী, কাজল মহন্ত ও সতিন প্রতিমা রাণী। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে নিহতের স্বামী সাধন নন্দী চৌধুরীর।
এছাড়াও আরেক সৎ ছেলে জীবন চৌধুরীকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত স্বামী সাধন নন্দী চৌধুরী এবং সৎ ছেলে জীবন চৌধুরী এক লাখ টাকা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ সুজাপুর এলাকার তাপতী রানীকে গত ২০২৭ সালের ৬ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৯ টায় শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ৭ এপ্রিল সকাল ৮টায় লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে স্বন্দীপ মাষ্টারের বাঁশ ঝাড়ে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের একমাত্র ছেলে শুভানন্দ চৌধূরী বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করে।
আসামিরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর ১৬৪ ধারায় ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন, পিপি এ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি ও এ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আতা। আসামীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন,এ্যাডভোকেট হামিদুর রহমান সহ অন্যরা।