আগের ম্যাচে প্রায় একা হাতে শ্রীলঙ্কাকে পিষে দিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। বুধবার ব্রিসবেনে সঙ্গী পেলেন স্টিভেন স্মিথকে। দুজনের আলোতে দ্বিতীয় ম্যাচেও অন্ধকারে লঙ্কানরা। লাসিথ মালিঙ্গার দলকে ৯ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন টি-টুয়েন্টির সিরিজ পকেটে ভরেছে অজিরা।
মাত্র কয়েকদিন আগেই টি-টুয়েন্টির একনম্বর দল পাকিস্তানকে তাদেরই ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে শ্রীলঙ্কার প্রায় ‘দ্বিতীয় সারির’ দল। সেই শ্রীলঙ্কাই অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে হোয়াইটওয়াশের মুখে।
অস্ট্রেলিয়া সফরের শুরু থেকেই হালে পানি পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা। এদিনও তাই। প্রথম ব্যাট হাতে এবং পরে বল। আগের ম্যাচে ৫৬ বলে অপরাজিত সেঞ্চুরি করেছিলেন ওয়ার্নার। এদিনও আউট হননি। রানের অভাবে অবশ্য সেঞ্চুরি করা হয়নি! তবে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন অজি ওপেনার। তার পথে হেঁটেছেন সাবেক অধিনায়ক স্মিথও।
লঙ্কানদের ১১৮ রানের মামুলি টার্গেটে নেমে তৃতীয় বলেই আউট হয়ে যান অ্যারন ফিঞ্চ। খাতা খোলার আগেই তাকে সাজঘরমুখী করেন মালিঙ্গা। লঙ্কানদের বোলিং সাফল্যে সেখানেই যতি টেনে দেন ওয়ার্নার-স্মিথ।
পরে ১১৭ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থাকেন ওয়ার্নার-স্মিথ। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার সময় ৪১ বলে ৯ চারে ৬০ রানে ওয়ার্নার এবং ৩৬ বলে ছয় চারে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন স্মিথ। পুরো সাত ওভার হাতে রেখে ম্যাচ জিতে যায় অজিরা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটে নামে শ্রীলঙ্কা। ভাইয়ের বিয়ের কারণে এ ম্যাচে খেলেননি অজি পেসার মিচেল স্টার্ক। তাতে অবশ্য ঝড়ের গতি কম সামলাতে হয়নি লঙ্কানদের। তবে শুধু গতিই নয়, ঘূর্ণি বলও কম ভোগায়নি তাদের। দুটি করে উইকেট নিয়ে টার্গেট হাতের নাগালে রাখেন কেন রিচার্ডসন, প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জাম্পা ও অ্যাস্টন অ্যাগার।
অজিদের বোলিং গোলার সামনে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটসম্যান। প্রথম ম্যাচে ৯৯ রান করলেও এই ম্যাচে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে অবশ্য ১১৭ পর্যন্ত যায় সফরকারীরা। যদিও ৯৫ রানে ৮ উইকেট গিয়েছিল তাদের। সর্বোচ্চ ২৭ রান কুশল পেরেরার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেন ওপেনার গুনাথিলাকা। অন্যদের কেউ উল্লেখ করার মতো রান পাননি।
তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ২-০তে এগিয়ে থাকল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজে শেষ ম্যাচ ১ নভেম্বর, মেলবোর্নে।