তার পায়ের ঝলকে অনেক প্রথম, অনেক নতুন রেকর্ডের পাতা, অনেক ইতিহাসের বাঁকবদল লেখা হয়েছে। বার্সেলোনাকে কোপা ডেল রের শেষ আটে নেয়ার পথে ইতিহাসে আরও একটি অনন্য কীর্তির পাতা লিখলেন লিওনেল মেসি। কাতালানদের জার্সিতে জয়সংখ্যা নিয়ে গেলেন ৫০০তে। স্প্যানিশ ফুটবলের ইতিহাসে আর কোনো খেলোয়াড়ের নেই এমন কীর্তি।
বৃহস্পতিবার রাতে লেগানেসকে উড়িয়ে কোপা ডেল রের শেষ আটে উঠে গেছে বার্সেলোনা। মেসি করেছেন জোড়া গোল, সতীর্থের একটি গোলে রেখেছেন অবদান। ন্যু ক্যাম্পে তাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে লেগানেসকে ৫-০তে উড়িয়ে দিয়েছে কিকে সেঁতিয়েনের শিষ্যরা।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই গ্রিজম্যানের গোলে খাতা খোলার পর ২৮ মিনিটে ক্লেমেন্ট লেংলেটের গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। এই গোলটি মেসির নেয়া কর্নার থেকে আসা বলে হেডে জালে জড়ান তিনি।
ফিরে ৫০ মিনিটে নিজের প্রথম গোলটি করেন মেসি। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে আর্থার আরেকদফা ব্যবধান বাড়ানোর পর অতিথি জালে ৮৯ মিনিটে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন বার্সা অধিনায়ক। আর্জেন্টাইন মহাতারকা জয়ে মাঠ ছাড়ার সঙ্গে লিখে নেন ইতিহাসও।
৩২ বছর বয়সী মেসির বার্সার জার্সিতে অভিষেক সেই ২০০৪ সালে, পরে পেরিয়ে গেছে ১৬টি বছর। সময়টাতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৭১০ ম্যাচ খেলেছেন। শুরুর একাদশে ছিলেন ৬২৮ বার, জয় কাটায় কাটায় ৫০০টি। যাতে মোট গোল ৬২১টি, সঙ্গে সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ২৪৩ গোল।
মেসি ছুটছেন সান্তোসের হয়ে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের করা সর্বকালের সর্বোচ্চ গোল ৬৪৩-এর পেছনে। বার্সা ক্যারিয়ারে মেসির জয়ের হার ৭১ শতাংশ। ১৩১টি ড্র দেখেছেন, যা ১৮ শতাংশ। সঙ্গে হার ৭৯ ম্যাচে, কেবল ১১ শতাংশ! ন্যু ক্যাম্পে মেসির জয়ের হার ৮২ শতাংশ। ঘরের মাঠে ৩৪৮ ম্যাচ খেলে ২৮৫টি জয় তুলেছেন।
স্প্যানিশ ফুটবলে জয়ের রেকর্ডে মেসির পেছনে তার সাবেক এক সতীর্থ-বন্ধু। জাভি হার্নান্দেজ ৪৭৬টি জয়ে অবসরে গেছেন। পরে রিয়ালের সাবেক গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস ৪৬৩ ও বার্সা সাবেক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার নামের পাশে জয় আছে ৪৫৯টি করে। অ্যাথলেটিক বিলবাও আর বার্সার সাবেক কিংবদন্তি গোলরক্ষক আন্দোনি জুবিজারেতা ৪৪৪ জয় নিয়ে পাঁচে। বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে আরেকজন আছেন সেরার কাতারে, ছয়ে রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস ৪৩৯টি জয়ের মুখ দেখেছেন।