শফিকুল ইসলাম: সেনাবাহিনীকে ছাড়াই চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। নির্বাচনে ২২ হাজার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর ওপর আস্থা রাখছেন নির্বাচন কমিশন। প্রস্তুত আছে স্ট্রাইকিং ফোর্স। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েকঘণ্টা। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্বাচন কমিশন এবং স্থানীয় প্রশাসন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
৭১৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আসা যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে এবং নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ২২ হাজার সদস্যকে মাঠে নামিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
সিএমপি পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা যথেষ্ট পরিমাণ পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্য নিয়োগ দিয়েছি। তবুও সরকার যদি মনে করেন আমরা ব্যর্থ হচ্ছি; তাহলে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিতে পারেন।
ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার।
রিটার্নিং অফিসার আব্দুল বাতেন বলেন, শুধু ভোটকেন্দ্রেই নয়, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসা যাওয়ার পথেও তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি ভোটারদের আশ্বস্ত করছি এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আমরা আরো নিশ্চয়তা দিচ্ছি যখন যে কোনো সমস্যা হবে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিব।
নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ সবার সঙ্গে ডিউটি পালনের জন্য আমরা মোট ১শ’ ৩৪ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ দিয়েছি। এছাড়া নির্বাচনের দিন ৩০টি মোবাইল কোর্ট দায়িত্ব পালন করবে।
‘আমাদের প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য প্রস্তুত আছে। আমরা ভোটাদের কাছে অনুরোধ করি সবাই সকাল ৮টা থেকে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট প্রদান করবেন।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৮ লাখ ভোটারের ৭১৯টি ভোট কেন্দ্রের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাত ১২টা থেকে চট্টগ্রাম সিটিতে যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে বিরতিহীন ভোটগ্রহণ।