ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি ক্রিকেটে ফিল্ডিংও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও একটি ক্যাচ, রান আউট কিংবা স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হারালে দিতে হয় চরম মূল্য। ২০০৬ সালে ফতুল্লায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও রিকি পন্টিংয়ের ক্যাচ হাতছাড়া করে হাতছাড়া করে ম্যাচই।
১১ বছর পর সামনে সেই অস্ট্রেলিয়া, ফিল্ডিং প্রসঙ্গ তাই সামনে আসছে ভালোভাবেই। ফিল্ডিংয়ের সবসময়কার সেরা দলের একটি অজিরা। হাফ-চান্সকে ফুল-চান্সে পরিণত করে তারা গড়ে দেয় পার্থক্য। তাদের হাতে ক্যাচ ফসকালে সেটা অবিশ্বাস্য বলেই গণ্য হয়। এমন দলের সামনে যখন বাংলাদেশ, মুশফিকদের তাই ফিল্ডিং নিয়ে ভাবতে হচ্ছে আলাদা করেই।
‘এটা তো অবশ্যই, একটা চিন্তার বিষয়ও। কিন্তু কেউ তো ইচ্ছা করে রান আউট মিস করে না বা ক্যাচ ছাড়ে না। এটা খেলারই অংশ। আর টিম ম্যানেজমেন্ট এই নিশ্চয়তা দিয়ে কোনও খেলোয়াড়কে নিতে পারবে না যে, সবকিছু শতভাগ ঠিক করবে। এটা খেলারই অংশ। তবে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
সামনে আর কোনও সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না মুশফিক, দেখতে চান না ২০০৬ এর মতো কিছুও, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে সবকটা সুযোগ যেন কাজে লাগাতে পারি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, টেস্টে যে দল বেশি সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে, তারাই এগিয়ে থাকবে। অবশ্য যে টেস্টগুলো আমরা জিতেছি, বেশিরভাগ সুযোগই আমরা কাজে লাগিয়েছি। আশা করব, সেটার পুনরাবৃত্তি যেন আমরা করতে পারি।’
ফিল্ডিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি বোঝাতে গতকালের একটি উদাহরণ টেনে আনলেন মুশফিক, ‘ইংল্যান্ডের শেষ টেস্টেই (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) বেন স্টোকস ৯ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছে, পরে সেঞ্চুরি করেছে।’ মুশফিক চান না সেরকম সুযোগ অজিদের দিতে।