টানা চার হার। তাতে টুর্নামেন্টের সেরা চারে টিকে থাকার আশা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না খুলনা টাইটানস। শনিবার মিরপুরে দারুণ আশা জাগিয়েও সুপার ওভারের দ্বৈরথে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের কাছে মাহমুদউল্লাহর দলকে হারতে হয়েছে ১ রানে।
টাই হওয়ায় ম্যাচটা সুপার ওভারে গড়ালে চট্টগ্রাম ১২ রানের লক্ষ্য দেয় খুলনাকে। সহজ সমীকরণটা মেলাতে পারেনি টাইটানসরা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে তাই হতাশা, ‘বিপিএলে দুইটা ম্যাচে আমাদের জেতার সুযোগ ছিল। দুইবারই সুযোগ মিস করলাম। সুপার ওভারে ১২ রান বড় কোনো টার্গেট না। পেরিয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু আমরা করতে পারিনি। আমাদের ভুল।’
ম্যাচে ২০তম তথা, শেষ ওভারে ভাইকিংসের দরকার ছিল ১৯ রান। টাইটানসের অনিয়মিত পেসার আরিফুল হক প্রথম পাঁচ বলে হজম করেন তিন ছক্কা। ম্যাচ টাই। আগের দুই বলে ছক্কা হাঁকানো রবি ফ্রেইলিঙ্ক শেষ ডেলিভারিটি ব্যাটেই লাগাতে পারেননি। হন রানআউট। তাতে বিপিএলে প্রথমবারের মতো দেখা মেলে সুপার ওভারের।
পরে এক ওভারের লড়াইয়ে আগে ব্যাট করে ১১ রান তোলে চট্টগ্রাম। এবারও ম্যাচটা খুলনার নাগালে! কিন্তু তারা তুলতে পারল কেবল ১০ রান। রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষপর্যন্ত ১ রানে হারে খুলনা।
বিপিএলে শেষ ওভারে বল হাতে নিয়ে একাধিক ম্যাচে দলকে জেতানোর রেকর্ড আছে মাহমুদউল্লাহর। এশিয়া কাপের ফাইনালকে ভারতকে আটকাতে শেষ ওভারে তাকেই বেছে নিয়েছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। শনিবার শেষ ওভারে নিজে কেনো আসেননি সেটারও ব্যাখ্যা দিতে হল মাহমুদউল্লাহকে।
‘শেষ ওভারে অফস্পিনার আসাটা কঠিন। ১ ওভারে ১৯ রান লাগে। আমি ভাবলাম, আরিফুল হয়তো বেটার অপশন হবে। সে ওয়াইড ইয়র্কার করতে পারে। ফ্রেইলিঙ্ককে নিয়ে যে পরিকল্পনা ছিল যে বাইরে বল দেয়া। দুর্ভাগ্য সেটা হয়নি।’
মিরপুরে জয়ের মুখ না দেখেই রোববার সিলেট যেতে হচ্ছে খুলনাকে। সেখানে ১৫ জানুয়ারি তাদের প্রতিপক্ষ রাজশাহী কিংস।