বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ্উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে দায়ের করা রুলের নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার অগ্রগতি বিষয়ে প্রতি মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশ সদর দপ্তরকে নির্দেশ দেন আদালত।
সোমবার পর্যবেক্ষণসহ রুলের নিস্পত্তি করে রায় দেন বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।শুনানিতে অংশ নেন বাদীপক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মমতাজউদ্দিন ফকির ও ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল বশিরউল্লাহ।
এরআগে ১৫ ও ১৬ মার্চ এবং ৮ ও ৯ এপ্রিল চারদিনের শুনানি হয়। ওই সময় শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন বাদীপক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মমতাজউদ্দিন ফকির।
সালাহউদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে ব্যর্থতা চিহ্নিত করতে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনেরও আরজি জানান মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে অংশ নিয়ে অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মমতাজউদ্দিন ফকির বলেন, রুলের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় এ রুল আর চলতে পারে না।
গত ১০ মার্চ রাতে সালাহউদ্দিন আহমেদকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে স্ত্রী হাসিনা আহমেদ ও তার দল বিএনপি। এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সালাহউদ্দিনকে হাজিরের নির্দেশনা চেয়ে তার স্ত্রীর করা রিটের পর ১২ মার্চ রুল জারি করেন আদালত।