অতিরিক্ত সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার বর্তমানে নেশার পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আর এই নেশার কবলে পরে সম্পর্কগুলো হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য। মানুষ খুব বেশি ‘লোক দেখানো’ আচরণে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম সামাজিক মাধ্যমের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অভিভাবকরা। অভিভাবকের সামাজিক মাধ্যমে আসক্তির কারণে বিরূপ প্রভাবের স্বীকার হচ্ছে সন্তান। জেনে নিন সামাজিক মাধ্যমের কী প্রভাব পড়ছে অভিভাবকের উপর সেই সম্পর্কে।
সব মুহূর্তের ছবি তোলা
আপনার সন্তানের প্রথম হাঁটা, প্রথম খাওয়া, প্রথম কথা বলা এই সব মুহূর্তগুলোর ছবি তুলে রাখাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রতিটি মুহূর্তের ছবি তুলতে গিয়ে সময়গুলো উপভোগ করতে ভুলে যাচ্ছেন না তো? ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্তগুলোতে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করার কথা না ভেবে নিজেরা উপভোগ করুন। মুহূর্তগুলো হারিয়ে গেলে আর ফিরে পাবেন না।
বেখেয়ালি
অনেক অভিভাবককেই দেখা যায় সারাদিন সামাজিক মাধ্যমেই নজর রাখছেন। স্মার্ট ফোনের পর্দায় তাকিয়ে গেম খেলা কিংবা ব্রাউজিং নিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন কেউ কেউ, যে সন্তানের দিকে খেয়াল করার অবকাশ মিলে না। অথচ কিছুক্ষণের অসাবধানতাই বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
সন্তানের নিরাপত্তায় ব্যাঘাত
আপনার সন্তানকে কোন স্কুলে দিয়েছেন, ক্লাসে তার রোল নম্বর, স্কুলের সময়সূচী সব কিছুই আপনার ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা সম্ভব হতে পারে। ফলে, খুব সহজেই অপহরণের মতো অঘটন ঘটানো সম্ভব। এছাড়াও সন্তানের যেসব ছবি আপনি ফেসবুকে শেয়ার করছেন, সেগুলোর অপব্যবহার করা সম্ভব খুব সহজেই। তাই সামাজিক মাধ্যমে অতিরিক্ত আসক্তি সন্তানের বিপদ ডেকে আনতে পারে যে কোনো সময়।
সামর্থ্য ভুলে প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠা
আপনার সন্তানের চাহিদাগুলো আপনি সামর্থ্য অনুযায়ী পূরণ করবেন। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে আসক্তির কারণে ‘কে কী কিনেছে’ সেটা নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অন্যের কেনাকাটা কিংবা জীবনযাপন দেখে নিজের সঙ্গে মেলাতে গিয়ে অনেক অভিভাবকই হতাশায় ভোগেন। ফলে সন্তানের ওপর এবং দাম্পত্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে।
প্যারেন্টস