একসময় হয়তো দুজনে হাত ধরে হেঁটেছেন, উপভোগ করেছেন নিজেদের প্রেমময় জীবন।
সেই ভালোবাসার সঙ্গীকেই পুড়িয়ে দিলেন প্রেমিক। একেবারে জীবন্ত। দোষ একটাই,
দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদ (ব্রেক-আপ) হয়ে গেছিলো। এমন ঘটনা ঘটেছে গত রোববার ইতালির রোমে।
রোম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন ২২ বছর বয়সী সারা দি পিয়েট্রানটোনিও। তার ২৭ বছর বয়সী ছেলেবন্ধু ভিসেনজো পাডুয়ানোর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙতেই চাচ্ছিলেন তিনি। ভেঙেছিলেও, তবুও নিজেকে বাঁচাতে পারলেন না। গত রোববার সকালে সারার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে তাকে হত্যা করে ভিসেনজো।
শরীরে অ্যালকোহল ছড়িয়ে সিগারেটের লাইটারের আগুন জ্বালিয়ে মেরে ফেলা হয় সারাকে। আবার সেই হত্যার কথা নিজেই স্বীকার করেছেন সেই প্রেমিক। নিজেকে পরিত্যক্ত হিসেবে মেনে নিতে পারছিলো না। তাই পরিকল্পনা করেই হত্যাকাণ্ডটা ঘটিয়েছে বলে জানায় মামলাটির প্রসিকিউটর।
ওই ঘটনাটির তদন্ত কর্মকর্তা লুইগি সিলিপো জানিয়েছেন, তার ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে এমন ঘটনা প্রথম দেখছেন।
পেশায় সিকিউরিটি গার্ড ভিসেনজো ঘটনার অাগের দিন রাত তিনটার দিকে অফিস থেকে বেরিয়ে সারার বর্তমান প্রেমিকের বাসার সামনে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। সেখান থেকে সারা বেরোতেই তাকে অনুসরণ করে গাড়ি ড্রাইভ করে কিছুদূর যাওয়ার পর এক পর্যায়ে জোর করে সারাকে রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করাতে বাধ্য করে ভিসেনজো। এরপর গাড়ির ভেতরে এবং সারার গায়ে অ্যালকোহল ছড়িয়ে দেয়। তারপর তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আশপাশের কিছু ক্যামেরাতেও সেই সময়ের কিছু চিত্র ধরা পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে দুটি কারের ছুটে চলা। এরপরই মেয়েটার সাহায্যের জন্য চিৎকার শোনা যায়।