মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মুজাহিদের আবেদনের শুনানি ২ নভেম্বর আপিল বিভাগের বিশেষ বেঞ্চে হবে। মঙ্গলবার এ আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি। একই দিনে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে অতিরিক্ত ৮ সাক্ষী সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদনেরও শুনানি হবে।
পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণার পর ১৪ অক্টোবর পুনর্বিবেচনার আবেদন করে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। এর ৬ দিনের মাথায় পাকিস্তানের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী এবং বাংলাদেশের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিসহ ৮ জনকে সাক্ষী করার বিষয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে আবেদন করা হয়। পুনর্বিবেচনার আবেদন দ্রুত শুনানির বিষয়ে বিরোধিতা করে আসামীপক্ষ।
আসামীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, দেড় মাস পর আদালত খুলছে। শত শত বিচারপ্রার্থীর মামলা আপিল বিভাগে রয়েছে। তারা উন্মুখ হয়ে আদালত খোলার অপেক্ষায় আছেন। এখন যদি অন্যান্য মামলাগুলো আটকে রেখে এই মামলার শুনানি হয়, তবে সাধারণ মামলার বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি হবে।
আসামীপক্ষের আইনজীবী আরো বলেন, ‘উচ্চস্তরের লোকদের এফিডেভিট নিয়ে বলছি, ওই সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী করাচি এবং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য ছিলেন। তাদের এফিডেভিট পুনর্বিবেচনা করার জন্য আমরা যে দরখাস্ত করেছি, সেটিও ২ নভেম্বর শুনানির জন্য আসবে।’
আসামীপক্ষের বক্তব্যের জবাবে রাষ্ট্রপক্ষ আইনের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি চেম্বার বিচারপতিকে জানান।অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এ পর্যন্ত তড়িৎ গতিতে অনেক মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। কাজেই এখন আর অনেক মামলা আটকে থাকার যুক্তি চলবে না। আর যদি অনেক মামলা পেন্ডিং থাকেও, তারপরও এ ধরণের মামলা বিশেষ গুরুত্বের ক্রমধারায় শুনানি হওয়ার বিধান আইনে রয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানিতে অতিরিক্ত ৮ জনের বক্তব্য গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেবে আপিল বিভাগ। তবে এই পর্যায়ে সে সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।