আজ ২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৬৯ তম জন্মদিন। জাতির পিতার জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়াতেই ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পিতার মতো গ্রামের সবুজ শ্যামল ছায়াশীতল পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন তিনি। আত্মীয় স্বজন ও নিকটজনদের কাছে পরিচিত হাসু নামে। শৈশব কৈশোর কেটেছে বাইগার নদীর ঢেউ আর পাখির কলকাকলিতে, মেঠো পথের আকাঁ-বাঁকা সৌন্দর্যে। দাদা-দাদি, মা আর আত্মীয় স্বজনদের কাছেই তাঁর বড় হওয়া।
বাবার সাথে কমই দেখা হত। জন্মের সময় বঙ্গবন্ধু ছিলেন কলকাতায়, দেখতে পারেন জন্মের বেশ পরে। বাবাকে কাছে পেলে কিছুতে ছাঁড়তে চাইতেন না, পিতার কোলে বসে গল্প শুনতে খুব ভালবাসতেন। কিন্তু পিতা ব্যস্ত রাজনীতিতে নতুবা পাকিস্তানি শাসকের রোষানলে বন্দি জেলখানায়। গ্রামের মাটি ঘাস রোদেই কেটেছে স্বপ্নময় দিনগুলি। প্রকৃতির নিবিড় ভালবাসায় হয়ে উঠেছেন মমতাময়ী, পিতার অনুপস্থিতি ভুলে থেকেছেন।
গ্রামের পাঠশালায় প্রথম শিক্ষাজীবন শুরু। ঢাকায় আসেন পিতা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিএ) হবার পর, সেই ১৯৫৪ সালে। থাকা শুরু হয় পুরনো ঢাকার মোগলটুলির রজনী বোস লেনের বাসায়। বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী হবার পর ৩ নম্বর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে থাকতে থাকেন। ১৯৫৬ সালে শেখ হাসিনা ভর্তি হন টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে এবং ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িটির দ্বার উদঘাটন হয়।
শহুরে পরিবেশের চাইতে মন পড়ে থাকত সেই বাইগার নদীর ধারে, ছুটি পেলেই সবাই চলে যেতেন গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায়। শহর থেকে গ্রামে যেতেই তিনি বেশী আগ্রহী হতেন। গ্রাম তাকে টানত। সে কথা নিজেই লিখেছেন তাঁর রচনাসমগ্রে।
’৬৫ সালে শেখ হাসিনা আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করেন আর ’৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ঢাকার বকশী বাজারের পূর্বতন ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে। প্রধানমন্ত্রী হয়ে সেই আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয়েকে তিনি সরকারীকরণ করে দিয়েছেন।
স্কুল-কলেজ জীবন থেকেই মিছিলে গেছেন, রাজনীতির হাতেখড়ি পরিবারেই, বড় হয়েছেন রাজনৈতিক পরিবার ও পরিবেশে। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি কলেজ ছাত্রী সংসদের সহ-সভানেত্রী পদে নির্বাচিত হন। কলেজে শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য সেসময় তিনি ছাত্রীদের নিয়ে আন্দোলন করেছেন। ১৯৬৭ সালেই ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে, রোকেয়া হলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, অংশ নিয়েছেন আইয়ুব-বিরোধী আন্দোলন এবং ৬ দফা আন্দোলনে। কারাবন্দি পিতা বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে শেখ হাসিনার বিয়ে হয় ১৯৬৮ সালে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ধানমন্ডির ১৮ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে মা-বোনসহ বন্দী ছিলেন। প্রথম সন্তান সজীব ওয়াজেদের জন্ম মুক্তিযুদ্ধের মধ্যেই। মা বেগম ফজিলাতুন্নেছাকে মেয়েকে হাসপাতালে দেখতে যেতে দেয়নি পাক বাহিনী। দেশ স্বাধীন হবার পর তারা মুক্তি পান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে যখন জাতির পিতাসহ পরিবারের বাকী সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তখন তিনি ও ছোটবোন শেখ রেহানা জার্মানি থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। পিতার মৃত্যুর পর শুরু নতুন সংগ্রাম।চেনা মুখ চেনা দেশ পাল্টে যায়, চেনা জীবন হয়ে উঠে বেদনার, দেশে ফিরতে বাধা, শুরু হয় অনিশ্চয়তার জীবন। ঠাঁই হয় ভারতে, ছোট বোন যান লন্ডনে। লন্ডনে তারা পিতার মৃত্যুর বিচারের দাবী তুলেন কিন্তু দেশে আসতে পারেন নি। দেশে আসতে বাধা দেয়া হয়, তবে তাঁর স্বদেশ ফেরা ঠেকানো সম্ভব হয়নি। ছয় বছর নির্বাসিত জীবন শেষ হয় ১৯৮১ সালে। ১৯৮১ সালের ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। সেদিন তিনি বলেছিলেন, “আমি ক্ষমতার জন্য রাজনীতিতে আসিনি, বাংলার মানুষের পাশে থেকে মু্ক্তির সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য আমি এসেছি।” সমালোচকদের জবাবে বলেছিলেন, “রাজনীতি আমার রক্তে মেশানো।” দেশে ফেরার পরে থেকেই নিরলসভাবে দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে যাচ্ছেন। গৃহবন্দী করা হয়, জেলে পাঠানো হয় অনৈতিকভাবে, কিন্তু কোন ঘাত প্রতিঘাত তাঁকে দমাতে পারেনি। ১৯ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়, বাংলার মানুষের ভালবাসায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। আঘাত আসলেও তিনি কখন মাথা নত করেননি। দীর্ঘ একুশ বছর পর ১৯৯৬ সালে দলকে সরকারে আনেন তিনি। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করেন।
কিন্তু ষড়যন্ত্র কখনই পিছু ছাড়েনি, এতে অবশ্য তিনি কখনই বিচলিত নন। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হারানো হলে দলের নেতাকর্মীদের উপর জোট সরকারের অত্যাচার নিযার্তন শুরু হয়। ২০০৪ সালের গ্রেনেড মেরে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। সে হামলায় দলের নেতাকর্মীদের মানববর্ম শেখ হাসিনাকে প্রাণে বাঁচালেও আওয়ামী লীগ মহিলা সম্পাদক আইভী রহমানসহ ২৪ জনকে প্রাণ দিতে হয়েছে। দমে যাননি শেখ হাসিনা। বরাবরের মতোই শোককে শক্তিতে পরিণত করে জনগণের কল্যাণে নিজেকে রেখেছে অটল। নিজ মুখেই শেখ হাসিনা বলেছেন: “আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না। বাবার মতো দেশের কল্যাণে আমিও রক্ত দিতে প্রস্তুত।”
জাতির পিতার মতোই জনগণই তাঁর ভালবাসা, শেষ ঠিকানা। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথ ও সংগ্রামের পথ ছাড়েননি। কিন্তু তাঁকে রাজনীতি থেকে সরাতে, এমনকি প্রাণ সংহার করতে করা হয় নানা ষড়যন্ত্র। নির্বাচন বন্ধ করে আসে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বিনা কারণে সুধা সদন থেকে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। সাব জেলে ১১ মাস আটকে রেখে ১১ জুন ২০০৮ সালে তাকে মু্ক্তি দিতে বাধ্য হয় সরকার। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে বিপুল বিজয় নিয়ে আবারো সরকারে আসে আওয়ামী লীগ। দেশ সমুখের পথে এগুতে থাকে, জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করা হয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়, বিচারের রায়ও কার্যকর করা হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাৎ করতে চলছে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র। আরেক রাজনৈতিক দল সরাসরি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীর আন্দোলন বন্ধে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী সামনে আনে হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে, এদের অযাচিত দাবীও সামাল দিতে হয়েছে শেখ হাসিনাকেই।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় নামে, নানান কথা বলে আওয়ামী লীগের ওপর জনগণকে বীতশ্রদ্ধ করার চেষ্টা চালায়। তবে শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে সব কিছু মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে জাতিসংঘ, আমেরিকা ফোন করে রায় কার্যকরে বিরত থাকতে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু ন্যায়ের প্রতি অটল সত্যের সাহসী ব্যক্তিত্ব শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রায় কার্যকর করেন। দৃঢ় প্রত্যয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, যতো বাধাই আসুক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত থাকবেই। দেশের প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। ধর্মীয় উগ্রতা, মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বিরামহীনভাবে লড়ে যাচ্ছেন তিনি।
আঞ্চলিক শান্তি ও ঐক্য বৃদ্ধিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি। ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্র সীমার বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করেছেন। সম্প্রীতির সঙ্গেই ভারতের সাথে সীমান্ত জটিলতা সমাধানসহ ৬৮ বছরের ছিটমহল সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধানও করেছেন শেখ হাসিান। বিশ্বের অনেক দেশে এখনও সীমান্ত সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে এ জটিলতার সুরাহা করেছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আজ ছিটমহলবাসী স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে, তাদের উন্নয়নে সকল ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসে বিরুদ্ধে একসাথে কাজ করতে সবদেশকে আহবানও জানিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে তিনি এই দাবী পেশ করেছেন। সম্প্রতি বিশ্ব শান্তির জন্য শেখ হাসিনা প্রদত্ত প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত হয়েছে। শুধু বিশ্ব শান্তিই নয়, বিশ্বে অস্ত্র বিস্তার রোধের দাবী করেছেন শেখ হাসিনা, বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, অস্ত্র উৎপাদনের ব্যয় কমিয়ে সে অর্থ শিক্ষাখাতে ব্যয় করতে হবে। তিনি শান্তির পথযাত্রী। দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী তাঁকে শান্তির দূত হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ এখন ব্র্যান্ড নেম। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করছেন। তিনি দেশকে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছেন, ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকেছে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে, দেশের উন্নয়ন করেছে, আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বও এই ধারা অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগের হালধরে পিতার সুযোগ্য কন্যা হিসেবে শেখ হাসিনাও মানুষের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ হীরার টুকরা, যতো কাটবে তত আলোকরশ্মি বের হয়ে জাতিকে আলোকিত করবে। শেখ হাসিনার কল্যাণে প্রতিটি সেক্টরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতি স্থিতিশীল, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, কর্মসংস্থান বেড়েছে, বাংলাদেশ আজ তলাবিহীন ঝুঁড়ি নয়, নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নত হয়েছে।
আধুনিকতার ছোঁয়া বাংলাদেশ পেয়েছে তাঁরই নেতৃত্বে। আজকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ আর স্বপ্ন নয় বাস্তবতা, ঘরে বসে পৃথিবীর সব খবর পাচ্ছে এদেশের মানুষ, প্রয়োজনীয় কাজও সারছে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। এই নতুন তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনা।
তিনি তাঁর এক গ্রন্থে লিখেছেন,“যতোক্ষণ জীবন আছে, ততোক্ষণ চেষ্টা করে যাবো বাংলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে, তাতে যতো বাধাই আসুক না কেন।” মানুষকে নিঃস্বার্থ ভালবেসে তাদের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা, তাই তিনি উন্নয়নের কবি, গণতন্ত্রের নিরন্তর সারথী।
গণমানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেজন্যই তিনি জননেত্রী, জনগণমননন্দিত নেত্রী, আমাদের আস্থার ঠিকানা, উন্নয়নের বাতিঘর। মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনা যতোদিন বেঁচে থাকবেন দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাবেন। তিনি দেশের নেতৃত্বে থাকলে দেশ উন্নত সমৃদ্ধ হতে বেশী সময় হয়তো লাগবে না। আমরা তারঁ দীর্ঘায়ু কামনা করি। প্রাণপ্রিয় নেত্রীর জন্মদিনে জানাই অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।