বিরোধী দলীয় কয়েকজন সংসদ সদস্যের জনমত জরিপের প্রস্তাবের পর বুধবার রাতে জাতীয় সংসদে কন্ঠভোটে পাস হয়েছে অর্থবিল-২০১৭।
গত ১লা জুন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২‘শ ৬৬ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। প্রায় ১ মাস সংসদের ভেতরে এবং দেশব্যাপী বাজেটের যে বিষয়গুলো নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়েছে তার প্রায় সবই বিবেচনায় নেন তিনি।
ব্যক্তি স্বার্থ ভুলে উন্নত দেশ গড়তে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণে কিছু সংশোধনী এনে তিনি বলেছেন, দেশের মানুষের সহযোগিতা পেলে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
সঞ্চয়পত্রের সুদ হার কমানোর ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দিলেও পেনশনার এবং নিন্ম মধ্যবিত্তরা যাতে সুরক্ষিত থাকেন তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন।
এর আগে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সমাপনী বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে যায় ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারী শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহার হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী জানান ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আবগারী শুল্ক নেই, ১ লাখ ১ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত শুল্ক কাটা হবে দেড়শ টাকা, ৫ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত ৫’শ টাকা, ১০ লাখ থেকে ১ কোটি আড়াই হাজার, ১ থেকে ৫ কোটি ১২ হাজার এবং ৫ কোটি টাকার বেশি ব্যাংক হিসাবধারীকে আবগারী শুল্ক দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা।
ভ্যাট আইন কার্যকর করতে না পারার আক্ষেপ বোঝা যায় অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতায়। তবে ভোটের চেয়ে ভ্যাট আইন জরুরি না তাও বুঝিয়েছেন তিনি।
দশম জাতীয় সংসদের ১৬তম বাজেট অধিবেশন ৩০ মে শুরু হয়। ১ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আগামী অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। পরে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা হয়। এ অধিবেশন ১৩ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।