রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা দিয়ে বা প্রলোভন দেখিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল যাতে সমাজে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এই আহবান জানান।
দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিমদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণীতে আবদুল হামিদ বলেন, আল্লাহর প্রতি এই অকৃত্রিম ভালোবাসা ও ত্যাগের আদর্শ আমাদের ব্যক্তি সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ কমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, কুরবানীর মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি, সৌহার্দ্য ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ত্যাগের মনোভাবকে প্রসারিত করতে হবে আমাদের কর্ম ও চিন্তায়। সকল ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানব কল্যাণ। তাই ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বা প্রলোভন দেখিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল যাতে সমাজে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল পবিত্র ঈদুল আযহা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)কে কুরবানী করতে উদ্যোগ হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, আনুগত্য ও আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা অতুলনীয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। এখানে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম ও আচার অনুষ্ঠানাদি পালন করে আসছে। এটি আমাদের সম্প্রীতির এক অনুপম ঐতিহ্য। কুরবানীর শিক্ষা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে- এটাই হোক এবারের ঈদের অঙ্গীকার।’
বাণীতে রাষ্ট্রপতি পবিত্র ঈদুল আযহা সবার জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক, সবার মধ্যে উঠুক আত্মত্যাগের মহিমা- মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করেন।